বাংলাদেশে
২০০৯ সালে ৯ম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে তথ্য অধিকার আইন -২০০৯ পাস হয়।
এই তথ্য অধিকার আইন -২০০৯ এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) এর
প্রোগ্রামসমূহের প্রোমোশনাল কাজ সম্পর্কিত চমৎকার, সৃষ্টিশীল, তথ্যবহুল,
শিক্ষনীয় জনঅবহিতকরণ এক মতবিনিময় (উঠান বৈঠক) সভা ৩ ফেব্রুয়ারি বাউবি’র
কুমিল্লা আঞ্চলিক কেন্দ্রাধীন চাঁদপুর উপ আঞ্চলিক কেন্দ্রের অর্ন্তগত মতলব
দক্ষিণের বাউবি’র বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামের স্টাডি সেন্টার রয়মনেন নেছা মহিলা
ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হাসানপুর শহীদ
নজরুল সরকারী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর
ঢাকা এর সাবেক উপ পরিচালক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন জামাল। প্রধান বক্তা
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাউবি’র কুমিল্লা আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক টি এম
আহমেদ হুসেইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতলব সরকারি কলেজের সহকারী
অধ্যাপক মুহাম্মদ জাকির হোসেন, ছেংগারচর সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ
আলম খান। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন ডিগ্রি প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী মোঃ
মোখলেছুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন রয়মনেন নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অরুন চন্দ্র সরকার।
প্রধান অতিথি বলেন, সরকারের এই
তথ্য অধিকার আইন প্রনয়নে সুশীল সমাজ, মানবধিকার কর্মী, প্রিন্ট ও
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সকল মানুষ খুশী হয়েছে। তিনি বলেন এই আইন
বাস্তবায়নে প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ তার গৃহীত সিদ্ধান্ত, কার্যক্রম কিংবা
সম্পাদিত বা প্রস্তাবিত কর্মকান্ডের সকল তথ্য নাগরিকগনের নিকট সহজলভ্য করার
জন্য সূচীবদ্ধ করে প্রকাশ ও প্রচার করবে।
বাউবি’র প্রমোশনাল কাজ
সম্পর্কে প্রধান অতিথি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, সরকার যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে
বাউবি প্রতিষ্ঠা করেছিল- বাউবি’র বর্তমান প্রশাসন ব্যাপক প্রচার প্রসারের
নানান কৌশল অবলম্বন করে সে মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের পথে এগুচ্ছে।
বিশেষ
অতিথিবৃন্দ বলেন, সরকারের তথ্য অধিকার আইনের আলোকে প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ
তাদের সাংগঠনিক কাঠামোর বিবরণ, যাবতীয় কার্যাবলি জনস্বার্থে প্রকাশ করবে
তথা চাহিবা মাত্র প্রদান করবে। বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে
বাউবি’র এ জাতীয় মতবিনিময় সভা তথা উঠান বৈঠক তথ্য অধিকারের আলোকে চমৎকার
উপস্থাপনা।
প্রধান আলোচক বাউবি’র আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, সরকারের তথ্য
অধিকার আইন-২০০৯ এর আলোকে বাউবি সকল অংশীজনের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে
সার্বক্ষনিক সজাগ দৃষ্টি রাখছে। তিনি বলেন বাউবি’র মাননীয় উপাচার্য
আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভূ-বিজ্ঞানী বিশিষ্ট ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও
শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার এর নজরকাড়া ও উদ্ভাবনী শ্লোগান
“বাউবির দীক্ষা; সবার জন্য উন্মুক্ত, কর্মমূখী, গনমূখী ও জীবনব্যাপী
শিক্ষা” এই শ্লোগানের আলোকে যে কোন বয়স পেশার পুরুষ মহিলাগন যার যার
যোগ্যতার ভিত্তিতে সারা জীবন বাউবিতে অধ্যয়ন করতে পারেন।
বাউবি’র
বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান বলেন- বাউবির কুমিল্লা
আঞ্চলিক কেন্দ্র ও চাঁদপুর উপ আঞ্চলিক কেন্দ্রের সহযোগিতায় যে প্রক্রিয়ায়
বাউবি’র প্রচারকাজ এগুচ্ছে- তাতে বাউবি সম্পর্কে অচিরেই দেশের সকল মানুষের
ধারনা আরো প্রসারিত হবে এবং এতে বাউবিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির আশাবাদ
স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
আঞ্চলিক পরিচালক আরো বলেন জনস্বার্থে প্রত্যেকই
বাউবি’র শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করতে পারেন। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে
বাউবি’র প্রান্তিক পর্যায়ের এই প্রচারনা কৌশল সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
কারণ বাউবি’র কল্যাণে দেশের যে কোন বয়স পেশার পুরুষ- মহিলাগন অর্থাৎ ঝরে
পড়া সকল মানুষ শিক্ষা গ্রহন করতে পারে। বাউবি কর্তৃপক্ষ মানুষের দোরগোড়ায়
শিক্ষা পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর এবং সে লক্ষেই বাউবি এগিয়ে চলছে। এছাড়াও এ
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউএনও মহোদয়ের
প্রতিনিধি, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃত্ববৃন্দ, জনপ্রতিনিধি,
কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বাউবি’র শিক্ষার্থীবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অরূন
চন্দ্র সরকার বলেন প্রকৃতপক্ষে-তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব কেবল
সরকারের একার নয়। সরকারের স্টেক হোল্ডার অন্যান্য অংশ যেমন- বেসরকারি
প্রতিষ্ঠানসমূহ, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানসমূহ, সচেতন সুশীল
সমাজ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ,
এনজিও কর্তাব্যক্তি এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা প্রমূখেরও বটে। তিনি আরো
বলেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ ডাইমেনশনাল প্রমোশনাল
কার্যক্রমের গঠনমূলক প্রচারাভিযান সর্বস্তরের মানুষের প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রাপ্তিতে অভূতপূর্ব সহায়ক ভূমিকা পালন করে চলেছে, যা বিশেষ করে বৃহত্তর
কুমিল্লা অঞ্চলে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছে।