ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
সন্দেহ নিশ্চিত হয় মোবাইল প্রযুক্তিতে
Published : Friday, 8 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 08.10.2021 1:03:32 AM
সন্দেহ নিশ্চিত হয় মোবাইল প্রযুক্তিতেরণবীর ঘোষ কিংকর: কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বসন্তপুরে মাদ্রাসা পড়ুয়া কিশোরী সালমার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে পুলিশ। নিহতের পিতা বাদী হয়ে আপন ভাতিজাসহ ১০জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করলেও সন্দেহের তীর থাকে বাদীর দিকেই।
সন্দেহ করার কারণ হিসেবে পুলিশ প্রথমে চিন্তা করেন ওই রাতে মেয়েকে একা ঘরে তারা কোথায় ছিল। কেনই বা পিতা অন্য বাড়িতে ছিল। সালমা আক্তারের পিতার ভাষ্যমতে তিনি রাতের প্রতিপক্ষের হামলার শিকারের ভয়ে উকিল শ্বশুর আব্দুর রহমান এর ঘরে আশ্রয় নেয়। মেয়েকে ঘরে একা ফেলে তার অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি সন্দেহ জনক মনে করেন পুলিশ। শুরু করেন গভীর তদন্ত। মামলার তদন্তে গেলে বাদী ও স্বাক্ষীদের কথায় বেশ পার্থক্য খুঁজে পায় পুলিশ। এদিকে এজাহারভুক্ত স্বাক্ষী না হয়েও স্বাক্ষী দিতে চান বসন্তপুর গ্রামের মৃত অলি মিয়ার ছেলে মো. খলিল। সেখানেই বাঁধে বিপত্তি। এরপর সন্দেহ ঘনিভূত হয় পুলিশের। তখন মোবাইল প্রযুক্তির দ্বারস্থ হন পুলিশ। প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ দেখতে পান সেই রাতে সোলেমান ব্যাপারী ও আব্দুর রহমান এর মধ্যে সারা রাত ফোনে কথা হয়। একই বাড়িতে এক ঘরে থাকলে দুইজনের সাথে কেন ফোন কথা হবে? এমন প্রশ্নেই মাঠে নামেন পুলিশ।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন- ‘বাবা মেয়েকে নৃশংস ভাবে হত্যা করতে পারে এটা কেউই বিশ্বাস করবে না। এমন ধারনা নিয়ে মেয়েটিকে শ্বাস রোধে হত্যার পর তার লাশের সাথে নৃশংসতা চালায় হত্যাকান্ডে জড়িতরা। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে হত্যাকারীরা সোলেমানকে আঘাত করে পুলিশের দৃষ্টি ঘোড়ানোর চেষ্টা করে।