ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
পিতাকে বাঁচাতে এসে হাতের কব্জি হারালো এসএসসি পরীক্ষার্থী
Published : Friday, 8 October, 2021 at 12:00 AM
পিতাকে বাঁচাতে এসে হাতের কব্জি হারালো এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
কুমিল্লার মুরাদনগরে মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে হাতের কব্জি হারিয়েছে জিহাদ মোল্লা (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত মেহেদী হাসান (২৫) নামে একজনকে আটক করে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বল্লবদী গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী জিহাদ মোল্লা ওই গ্রামের মানিক মোল্লার ছেলে ও জাহাপুর কমলাকান্ত একাডেমি এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ওই কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হক পাটোয়ারি বলেন, জিহাদ মোল্লা আমার প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্র। সে ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। জিহাদ মোল্লার ডান হাতের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এমন খবরে কলেজে উত্তাল। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারি সে ঢাকার পঙ্গু হসপিটালে আছে। এ অপ্রত্যাশিত ঘটনায় আমরা মর্মাহত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনে অন্যত্র কথা বলাকে কেন্দ্র করে জিহাদ হোসেনের বাবা মানিক মোল্লার সাথে তারই ছোট ভাই প্রবাসী আক্তার মোল্লার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের কথা কাটাকাটি ও তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ঘর থেকে ধারালো দা এনে মরিয়মের ছেলে মেহেদী হাসান তারই চাচা মানিক মোল্লার মাথায় কুপ দিতে যায়। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে জিহাদ মোল্লা এগিয়ে আসলে দায়ের কোপে তার ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শোর-চিৎকারে এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মুরাদনগর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাতেই বাপ-বেটার অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাদেরকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় আহত অপর দু’জন মুরাদনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গুরতর আহত জিহাদ মোল্লার মামা ফারুক মিয়া বলেন, আমার ভাগিনা যদি সামনে দিয়ে হাত না দিত তাহলে তার বাবার মাথা কেটে দু’ভাগ হয়ে যেতো।
এ দিকে অপর পক্ষ মেহেদী হাসানের মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার ছেলেদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা করেছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে আমি থানায় মামলা করেছি।
মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, বল্লভদীর ঘটনায় দুই পরিবারের লোকজনই আহত হয়েছে। একজনের কব্জি কেটে বিচ্ছিন করে ফেলেছে। এ ঘটনায় মানিক মোল্লার স্ত্রী সালেহা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মেহেদী হাসান নামে একজনকে আটকও করা হয়েছে। অপর দিকে আক্তার মোল্লার স্ত্রী মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে একটি পাল্টা মামলা করেছেন।