প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫, ১:৪২ এএম আপডেট: ২৭.০৫.২০২৫ ২:০২ এএম |
চাকরির
শুরুতে ১১তম বেতন গ্রেড নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি
শুরু করেছেন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। প্রাথমিক সহকারী
শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচী পালিত হচ্ছে।
সারাদেশের
ন্যায় কুমিল্লায় ও এ কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। তবে সংগঠনের কার্যক্রম যেখানে
বেশি সেখানেই এই কর্মসূচী বেশি পালিত হচ্ছে । যেমন কুমিল্লা শহরের বেশির
ভাগ বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালিত হয়েছে আবার উপজেলা পর্যায়ের কোন কোন
বিদ্যালয়ে ক্লাশ হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
এর আগে ৫মে থেকে ১৫মে
পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরে ১৬মে থেকে ২০মে
পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা এবং ২১মে থেকে ২৫মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি
পালন করেন শিক্ষকরা। সর্বশেষ ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে গেছেন
তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন
আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো
প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করা পরামর্শক কমিটির সুপারিমের
যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে শুরুর পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন
নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড
প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত
পদোন্নতি বাস্তবায়ন করা।
সহকারী
শিক্ষক সংগঠন, কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি লুৎফর নাহার লিপি বলেন, “আমরা
মে মাসের শুরু থেকেই ধাপে ধাপে কর্মসূচি দিয়েছি। হঠাৎ করে কঠোর কর্মসূচিতে
যাইনি। আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ, এবং দাবি মানা হলে আমরা দ্রুত
শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবো।”
সহকারী শিক্ষক সংগঠন কুমিল্লা মহানগর শাখার
সভাপতি লায়লা নূর পিংকি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি।
সরকার কিছু কিছু দাবি পূরণ করেছে, এখন আমরা ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য
আন্দোলন করছি।”
কুমিল্লা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শিলা রানী রায়
চৌধুরী বলেন, “সরকারি কর্মকর্তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা পান, আমরা তা থেকে
বঞ্চিত। ৩০ বছর চাকরি করেও অনেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবেই অবসরে যান। তাই
আমরা শতভাগ পদোন্নতি চাই।”
কুমিল্লা মহনগরীর গুলবাগিচা সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, “সহকারী শিক্ষকরা যৌক্তিক ও
শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম বেতন আমাদের।
দাবি মানা হলে আমরাও পাঠদান শুরু করব।”
চান্দিনা উপজেলার মিরাখলা সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান বলেন, “আমাদের দাবি
যৌক্তিক এবং সারাদেশের শিক্ষকদের আকাঙ্ক্ষা। আমরা চাই না, আন্দোলনের কারণে
শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক। এজন্যই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি।”
এদিকে
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়ানোর
উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত
হলে সহকারী শিক্ষকদের শুরুর বেতন গ্রেড ১২তম এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম
গ্রেড হবে।