কুমিল্লা
চৌদগ্রামে স্বামীর বাড়ী থেকে ১ম স্ত্রীর ছেলেরা গৃহবধুকে মেরে তাড়িয়ে
দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অসহায় গৃহবধু কুমিল্লা আদালতে ৬জনকে অভিযুক্ত করে
মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চৌদ্দগ্রামের কাশিনগর ইউনিয়নের
জুগিরকান্দি গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত শামছুল আলম মজুমদারে ২০ বছর
পূর্বে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেন দ্বিতীয় স্ত্রী রৌশনারা আক্তারকে ।
বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন ভালই চলছিল। মহামারী করোনার সময় ২০২১ সালে
হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তার স্বামী। মৃত্যুর পর রৌশনারা
আর্থিক সংকটে পরে তার স্বামীর বাড়িতে গেলে শামছুৃল আলমের ১ম স্ত্রীর
সন্তানেরা তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে এলাকার সাহেব
সর্দার ও স্থানীয়দের জানালে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সালিশ বৈঠক বসলেও ১ম
স্ত্রীর সন্তানের ক্ষমতাবান হওয়ায় সালিশ মানতে নারাজ। পরবর্তীতে রৌশনারা
আক্তার তার স্বামীর নিকট প্রাপ্ত সম্পত্তির পাওনা খারিজ করতে গেলে সেখানেও
তাকে বিভিন্নভাবে লাঞ্চিত করে। এরইপ্রেক্ষিতে ভিকটিম রৌশনারা প্রথমে আদালতে
ও পরে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারীরা হলেন মৃত
শামছুল আলম মজুমদার চেয়ারম্যানের ছেলে কাশিনগর কলেজের প্রভাষক শাহ মো:
মাকসুদুল আলম মজমুদার, তার ছোট ভাই এসএম ইফতেখার আলম মজুমদার,
চেয়্যারম্যানের ১ম স্ত্রী সাবিনা আক্তার মজুমদার, মেয়ের জামাই রিয়াজুল
ইসলাম চৌধুরী, মেয়ে ইসরাত জাহান বাবলী, মেয়ে শাহনাজ হক বেবি। তারা সকলে
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর জুগিরকান্দি গ্রামের মৃত সামছুল আলম মজুমদারের
ছেলে, স্ত্রী ও জামাতা। অভিযোগকারী রৌশনারা আক্তার জানান, তার স্বামীর
মৃত্যুর পর ১ম স্ত্রীর সন্তানেরা তাকে নানাভাবে ক্ষতি ও হয়রানি করে আসছে।
তাই তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো:
সামছুদ্দিন চৌধুরী মামলা তদন্ত করে আদালতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে মর্মে
একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।