বছর ঘুরে আসতে চলেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপুজা। সেই দুর্গাপুজার উৎসব অন্য সাধারণদের মত উদ্যাপন করতে চেয়েছেন দেশের জনপ্রিয় সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রিন্স মাহমুদ। তবে সেটি ঢাকাতে নয়, তার জন্মস্থান খুলনাতে পুজা উদযাপন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। সেখানে পুজার মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরবেন প্রিন্স।
হোক ঈদ কিংবা পুজা, এমন বড় কোনো উৎসব নিজের জন্মস্থানে কাটাতে কে না চায়? শৈশবের অনেক স্মৃতি মিশে থাকে এসব উৎসব ঘিরে। ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে কমবেশি সকলেই উৎসবগুলো উদ্যাপন করে থাকেন। দেশে যুগ যুগ ধরে দলবেঁধে এলাকার পুজার মেলায় খই-মুরকি, বাতাসা, কদমশঙ্খ, আমৃতি, রসগোল্লা খেতে যাওয়ার প্রচলন রয়েছে। হয়তো সেভাবেই পুজা উদযাপন করতে চেয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ। তবে তিনি খেতে চান রসগোল্লা, সঙ্গে লুচি।
দেশে দুর্গাপুজা এলেই পুজা মন্ডপগুলোতে হামেশাই বেজে ওঠে কিশোর কুমারের কালজয়ী গান ‘চিরদিনই তুমি যে আমার যুগে যুগে আমি তোমারই’। সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেন প্রিন্স মাহমুদ। হয়ত, নস্টালজিক হতেই গানের এই লাইনটি সামাজিক মাধ্যমে তুলে পুজা উদযাপনে সুর চড়িয়েছেন তিনি।
এক ফেসবুক পোস্টেই পুজায় ঘোরার নানান আকাঙ্ক্ষা উঠে এল প্রিন্সের। এই সুরকার উল্লেখ করেন, পুজায় খুলনা থাকবো। মণ্ডপে মণ্ডপে যাবো। সকালে ঘোষের দোকানে রসে ভেজানো রসগোল্লা, ডুবো তেলে ভাজা লুচি খাবো। মাইকে বাজবে কিশোর কুমারের ‘আমি যে কে তোমার তুমি তা বুঝে নাও’ বা ‘চিরদিনই তুমি যে আমার যুগে যুগে আমি তোমারই।’
অনুরাগীরা তার এই আকাঙ্ক্ষা সায় দিয়েছে বেশ। মন্তব্য ঘরে সঙ্গে সঙ্গেই খুলনাতে আমন্ত্রণ জানান প্রিন্স মাহমুদের ভক্ত-অনুরাগীরা। একজন লিখেছেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আমার বাসায় পুজার দাওয়াত থাকল।’ কেউ কেউ তো প্রিন্সের এই পোস্ট দেখে শৈশবের স্মৃতিতেও চলে যান। সেই দুটি গানের কথা উল্লেখ করে এক অনুরাগী লেখেন, ‘আহা ছোটবেলা।’