এ বারের
আইপিএলে প্রথম দল হিসাবে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পেল কেকেআর। ২০১৫ সালের পর
থেকে বেঙ্গালুরুর মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হারেনি
কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই নিয়ে বেঙ্গালুরুর মাঠে টানা ছ’টি ম্যাচ জিতল
কলকাতা। বিরাট কোহলিদের ৭ উইকেটে হারালেন শ্রেয়স আয়ারেরা। আরসিবির ৬ উইকেটে
১৮২ রানের জবাবে ১৬.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৬ কেকেআরের। এ দিনের জয়ের সুবাদে
আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল কেকেআর।
জয়ের জন্য ১৮৩
রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরুর ২২ গজে আগ্রাসী মেজাজে শুরু
করেন কেকেআরের দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইন। নিজের ৫০০তম
টি-টোয়েন্টি ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন কেকেআরের ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।
কার্যত নিশ্চিত অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেন তিনি। ২২ বলে ২টি চার এবং ৫টি ছয়ের
সাহায্যে ৪৭ রানের ইনিংস খেললেন নারাইন। পরের ওভারেই আউট হয়ে গেলেন সল্ট।
বিজয়কুমার বৈশাখের বলে আউট হওয়ার আগে ইংরেজ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার করলেন ২০
বলে ৩০। মারলেন ২টি করে চার এবং ছয়। ওপেনিং জুটির পর কেকেআর ইনিংসের হাল
ধরেন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার এবং বেঙ্কটেশ আয়ার। তাঁদের জুটি জয়ের লক্ষ্য ওভার
প্রতি ৬ রানের নীচে নামিয়ে নিয়ে আসে। দু’জনের মধ্যে দ্রুত গতিতে রান
তুলছিলেন বেঙ্কটেশ। শ্রেয়স কিন্তু এখনও ফর্মের খোঁজে রয়েছেন। যদিও
বেঙ্গালুরুর বোলারদের এ দিন কেকেআর ব্যাটারদের দাপটে গোটা ম্যাচেই বেশ
সাধারণ দেখিয়েছে। বেঙ্কটেশ আউট হলেন ৩০ বলে ৫০ রান করে। মারলেন ৩টি চার এবং
৪টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত শ্রেয়স এবং রিঙ্কু সিংহ অপরাজিত থাকলেন। শ্রেয়স
করলেন ২৪ বলে ৩৯। মারলেন ২টি করে চার এবং ছয়। রিঙ্কু করলেন ৫ বলে ৫ রান।
বেঙ্গালুরুর সফলতম বোলার বিশাখ ২৩ রানে ১ উইকেট নিলেন। ২৩ রানে ১ উইকেট
ময়ঙ্ক দাগারেরও। ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন যশ দয়াল।
এর আগে টস জিতে
প্রতিপক্ষকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স। প্রথমে ব্যাট
করার সুযোগ পেয়ে ৬ উইকেটে ১৮২ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
দলের ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন কোহলি। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত
অপরাজিত থাকলেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪টি করে
চার এবং ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। তবে ব্যাট হাতে রান পেলেন না বেঙ্গালুরু
অধিনায়ক ডুপ্লেসি (৮)। তিন নম্বরে নেমে কোহলিকে সঙ্গ দিলেন ক্যামেরন
গ্রিন। তিনি ২১ বলে ৩৩ রান করলেন ৪টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে। গ্লেন
ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকে এল ১৯ বলে ২৮। ৩টি চার, ১টি ছয় মারলেন অস্ট্রেলীয়
অলরাউন্ডার। তবে রজত পাটীদার (৩) এবং অনুজ রাওয়াত (৩) পর পর ব্যর্থ হওয়ায়
বেঙ্গালুরুর রান তলার গতি একটা সময় কিছুটা কমে যায়। শেষ দিকে ব্যাট হাতে
রান তোলার গতি বৃদ্ধি করলেন দীনেশ কার্তিক। ৮ বলে ২০ রানের ইনিংস এল তাঁর
ব্যাট থেকে।