রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আখতার ফরহাদকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে পরিচিত মুখ আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন।
মঙ্গলবার (৪ মে) বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মামুন। শুনানি শেষে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামুনের পক্ষের আইনজীবী মাজেদুর রহমান জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন লায়লা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তিন বছর আগে লায়লার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তার বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে মামুন লায়লার বারিধারার ডিওএইচএস-এর বাসায় বসবাস করে। এরপর থেকে মামুন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতো। প্রায় সময় মাদকসেবন করে গভীর রাতে বাসায় প্রবেশ করতো। বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় কথা বলতো। এমনকি মাঝে মধ্যে তাকে মারপিট করতো। বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পাঁয়তারা করতো।
গত ১১ ডিসেম্বর তারা উত্তরার একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাসায় আসে। এসময় মামুনসহ আরও দুইজন মদ পান করার জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করে। লায়লা তাকে নিষেধ করে এবং বাধা দেয়। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সে লায়লাকে মারধর করে ও হত্যার চেষ্টা করে।
সম্প্রতি মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। গত ৩ জুন পুলিশের দেওয়া চার্জশিট আমলে নেয় আদালত। মামুন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।