ব্যথাটা
পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে। আজ সকালে শেষ
ম্যাচের আগে ব্যথা আরও বাড়লে একাদশের বাইরে রাখা হয় তাসকিন আহমেদকে।
বিকেল
নাগাদ জানা গেল, তাসকিনের শরীরের এক পাশের মাংসপেশির চোটটা মোটামুটি
গুরুতরই, যা আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্তই বাংলাদেশ দলকে রাখবে
দুশ্চিন্তায়। খবরটা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
খেলা দেখে
বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে বিসিবি সভাপতি কথা বলেন
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। নাজমুল হাসান সেখানেই বলেছেন তাসকিনকে নিয়ে
দুশ্চিন্তার কথা। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘দুই থেকে তিন সপ্তাহ হয়তো বিশ্রাম
দিতে হবে। যদি দুই সপ্তাহ হয়, তাহলে কী করব, তিন সপ্তাহ হলে কী করব -এসব
নিয়ে ভাবতে হবে। দরকার পড়লে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলব।’
মাঠ
ছাড়ার সময় চোটের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাসকিনের কাছেও। তিনিও তখনই
নির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি, ‘এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। পুরো রিপোর্টটা
এলে বলা যাবে। ব্যথা আছে, ফিফটি ফিফটি।’
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে
তাসকিনকে ভোগাচ্ছিল কাঁধের চোট। ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কয়েকটি ম্যাচে
চোট নিয়েই খেলেছেন এই পেসার। বিশ্বকাপ শেষে আড়াই মাসের মতো সময় বিশ্রাম
নিয়েছেন ও পুনর্বাসন করেছেন। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও নিউজিল্যান্ড
সফরে তাই খেলা হয়নি তাঁর।
তাসকিন খেলায় ফেরেন গত বিপিএল দিয়ে। এর পর
থেকে নিয়মিত খেলার মধ্যেই আছেন। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর ঢাকা
প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন, এরপর জিম্বাবুয়ে সিরিজে টানা খেলেছেন প্রথম চারটি
টি–টোয়েন্টি। শেষ ম্যাচে না খেলেও ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে তাসকিনই সিরিজের
সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, সিরিজসেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।
কিন্তু শেষ
ম্যাচের আগে এসে খেলেন ধাক্কা। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দুর্দান্ত ফর্মে
থাকা তাসকিনের চোট বাংলাদেশ দলকে ফেলেছে দুশ্চিন্তায়।