শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্পিকারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
|
![]() সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারকরণ, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। শ্রীলঙ্কায় স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনায় শ্রীলঙ্কার বর্তমান সরকারের নেতৃত্ব ও গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীতে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন-বিস্ময়। তার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। তার নেতৃত্বে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনজীবন সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় ডেল্টা প্লান ২১০০ গ্রহণসহ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করছে।’ এ সময় বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শ্রীলঙ্কার সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার। শ্রীলঙ্কার সংকটে বাংলাদেশের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনে বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার অকৃত্রিম বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য শিক্ষা, গণস্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রে একত্রে কাজ করা, সর্বোপরি দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়ানো জরুরি।’ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্পিাকার। এ সময় ছিলেন– শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী থারকা বালাসুরিয়া, শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারেক মো. আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। |