
বাণিজ্যমেলায় ছুটির দিনে লোকে লোকারণ্য। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) মেলায় দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। প্রথম দিকে ক্রেতাদের চাপ ছিল কম। তবে সেই খরা কাটিয়ে বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা।
বিকেলে মেলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল থেকেই ক্রেতাদের চাপ রয়েছে। তারা আশা করছেন গতবারের তুলনায় এবার বেচাকেনা বেশি হবে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গতবারের তুলনায় এবার মেলায় জিনিসপত্রের দাম বেশি।
পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা আমিনুল হক জানান, সাভার থেকে এখানে এসেছি। দাম বেশি চাওয়ায় এখনো তেমন কেনাকাটা করা হয়নি। তবে পরিবারের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যাবো।
দর্শনার্থী শরীফুল ইসলাম বলেন, এবারের মেলায় সুন্দর জামা-কাপড় উঠেছে। কিছু জামা কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
রফিকুল আমিন পেশায় চাকরিজীবী জানান, ব্যস্ততা এবং শীত থাকার কারণে এতদিন মেলায় আসা হয়নি। ঠান্ডা কম থাকায় আজ সময় করে সন্ধ্যার দিকে মেলায় এসেছি। কিছু কেনাকাটা করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী জুবায়ের আহমেদ জানান, গতবার মেলায় প্রথম ১০-১৫ দিন ক্রেতাদের চাপ কম ছিল। দিন যতো গড়িয়েছে মেলা ততোই জমজমাট হয়েছিল। তবে এবার শীত বেশি পড়ায় প্রথম ৭-৮ দিন বেচাকেনা ছিল কম। কিন্তু আজ ছুটির দিনে সকাল থেকে ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি মেলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রেতাদের এমন ভিড়ই থাকবে।
মেলার প্রথম কয়েকদিন তেমন ক্রেতা না থাকায় আমরা অনেকটা অলস সময় পার করেছিলাম। তবে আজ ছুটির দিনে ক্রেতাদের প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আজকের পর বলা যাবে এবার আমরা কেমন লাভ করবো। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের আশানুরূপ বেচাকেনা হয়নি।
এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি।