ঢাকা-
চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাড়ছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। মহাসড়কের আলেখারচর ও
সেনানিবাস এলাকায় দেখা গেছে, যাত্রীবাহী পরিবহনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীরা।
তবে সকাল থেকে মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক লরি কাভার্ডভ্যান বেশি দেখা গেলেও,
যাত্রীবাহী পরিবহনের সঙ্কট দেখা গেছে। দূরপাল্লার যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া
নেবার অভিযোগ তুলেছে যাত্রীরা। সড়কে যাত্রীবাহী যানবাহনের সঙ্কট থাকায় কিছু
অসাধু বাস চালক যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে বলে চট্টগ্রাম
থেকে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের অভিযোগ।
কুমিল্লার আলেখার চর এলাকায়
চাপাইনবাবগঞ্জ যাবার বাসের জন্য অপেক্ষমান ধানকাটা শ্রমিক আশিকুল জানান,
বাধ্য হয়ে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে, কারণ রাস্তায় বাস নাই। ৮
শ' -১ হাজার টাকার ভাড়া দেড় হাজার থেকে দুই হাজার চাচ্ছে। গরিবের সব
কিছুতেই কষ্ট।
একই গন্তব্যের যাত্রী আলিমুল জানান, ভাড়া বেশি হওয়ায়
অনেকেই ট্রাকে করে বাড়ি যেতে হচ্ছে। যাবার পথে রোদ বৃষ্টিতে কষ্ট পেতে হবে।
না হয় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যেতে হবে, কিছুই করার নেই।
এদিকে কয়েকজন বাস
চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা থেকে খুব ধীর গতিতে যানবাহন
চট্টগ্রামের দিকে আসছে। নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় যানজট
থাকায় কুমিল্লা অংশে যাত্রীবাহী যানবাহনের শংকর দেখা দিয়েছে। তবে
দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত কোথাও দীর্ঘ কোন যানজট নেই।
জানা
গেছে, ঈদ যাত্রার অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বাজার এলাকা ও টোল প্লাজা
গুলোতে জটলা তৈরী করছে যানবাহন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কের ৩০
পয়েন্টে যানজটের আশংকা রয়েছে। পূর্বাঞ্চল হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো
হয়েছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত নির্বিঘœ ঈদ যাত্রা নিশ্চিত
অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ
উপলক্ষ্যে হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নে ৪৪ টি মোবাইল টীম, ৩৪ টি পিকেট টীম,
ঢাকা চট্টগ্রামের মহাসড়কের ২২ থানায় ২২ টি কুইক রেসপন্স টিম, ইন্টেলিজেন্স
টিম রয়েছে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য, সরকারি এবং বেসরকারি রেকার মোতায়েন করা
হয়েছে।
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়ন পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান, ঢাকা
চট্টগ্রাম মহাসড়কের আশেপাশের সহ হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নে ১২৭ টি কোরবানির
পশুর হাট বাসার কথা রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন রয়েছে ২৬ টি গরুর
হাট, এর মধ্যে ছয়টি কে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় বিশেষ নজরদারিতে রাখা
হয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘœ রাখতে মহাসড়ক এলাকায় কোন কোরবানির পশুর
হাট বসতে দেয়া হবে না। হাইওয়ে সংলগ্ন যেসব কোরবানির পশুর হাট রয়েছে সেগুলোর
প্রতি বেশি নজর দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কেউ
কোথাও কোন পশুবাহী যানবাহন থামাতে পারবে না। পশুবাহী যানবাহনের
নিরাপত্তায়ও হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।