
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
৭০
বছরের বৃদ্ধা মমতাজ বেগমকে হাত-পা বেঁধে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় প্রকৃত
জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে
এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের
নোয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই কর্মসূচী পালন করা হয়।
এতে
বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন,
নিহতের ছেলে নজরুল ইসলাম, হাজী আব্দুস সালাম, জয়নাল আবেদীন, হাজী আব্দুর
রহিম, আরব আলী, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল মালেক, ফিরোজ মিয়া, মনির হোসেন,
রুবেল মিয়া, জাকির হোসেন, শেফালি আক্তার, শিল্পী আক্তার ও মর্জিনা আক্তার
প্রমুখ।
বক্তারা পুলিশের গাফলতিকে দায়ী করে বলেন, বৃদ্ধা মমতাজকে
হাত-পা বেঁধে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার তিন মাস পার হলেও প্রকৃত
হত্যাকারী বিংবা কোন রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। বরং কালক্ষেপন করে এ
মামলার প্রকৃত আসামীদের পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা দ্রুত এ মামলাটিকে
ডিবি বা পিবিআই হস্তান্তরের দাবি জানাই।
নিহতের ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন,
পুলিশ একজনকে আটক করেছে। ওই আসামী ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিয়েছে।
হত্যাকাণ্ডে কে জড়িত তাদের নামও বলেছে। কিন্তু পুলিশ তিন মাস অতিবাহিত হলেও
কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আমার মা বাড়িতে একা থাকতেন, এ সুযোগে তাকে
গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমি প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে মামলাটি ডিবি পুলিশ অথবা পিবিআই কর্তৃক
তদন্তের জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাসিম দৈনিক
কুমিল্লার কাগজকে বলেন, উক্ত হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের
মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও
দিয়েছে। যাদের নাম বলা হয়েছে তারা এখন পলাতক আছে, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা
চলছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ মার্চ মঙ্গলবার ভোর রাতে নোয়াকান্দি
গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী মমতাজ বেগমকে নিজ বসত ঘরে হাত পা বেঁধে
গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।