ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ব্রাহ্মণপাড়ার ৮ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী যারা
জহির শান্ত
Published : Sunday, 26 December, 2021 at 7:52 PM, Update: 27.12.2021 1:14:20 AM
ব্রাহ্মণপাড়ার ৮ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী যারাকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২টি আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং বাকি ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। গতকাল দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল হক , মাধবপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন, শিদলাই ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, সাহেবাবাদ ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মনির হোসেন চৌধুরী, শশীদল ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আতিকুর রহমান রিয়াদ, মালাপাড়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, চান্দলা ইউনিয়নে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক এবং দুলালপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আনিসুল হক ভূইয়া রিপন বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে বিজয়ের পথে ১নং মাধবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ ফরিদ উদ্দিন পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান আহমেদ পেয়েছেন ৭২১৭ ভোট।
২নং শিদলাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম (চশমা) ৬ হাজার ৩৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৫ ভোট।
৩নং চান্দলা ইউনিয়নে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক ২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রতীকের মোস্তবা আলী পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৬ ভোট।
৪নং শশীদল ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান রিয়াদ ৭ হাজার ৮০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৩৯ ভোট।
৫ নং দুলালপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আনিসুর রহমান ভূইয়া ৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ তফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৮৮১ ভোট।
৬ নং ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জহিরুল হক ৭ হাজার ৪২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৮৫ ভোট।
৭নং সাহেবাবাদ ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মনির হোসেন চৌধুরী ৫ হাজার ১০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মিজানুর রহমান খান (চশমা) পেয়েছে ৩ হাজার ২৩১ ভোট।
৮নং মালাপাড়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন ২ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন সমর্থিত ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ ময়নাল হোসেন হাজারী পেয়েছেন ২ হাজার ৩৭৪ ভোট।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ভোট গণনা শেষে পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট জানিয়ে দেয়া হয়।’
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, ‘গত এক মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করার পর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণপাড়া থানা ও নির্বাচন অফিসের সহায়তায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, উৎসবমুখর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কাজ করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন রকম উদ্ভাবনী পরিকল্পনাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধাগুলো অপসারণে কাজ করেছে। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে বহুল আকাংখিত সেই নির্বাচন। নির্বাচন কেমন হয়েছে সেই বিচার ব্রাহ্মণপাড়ার আপামর জনসাধারণের। যারা এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন তাদের অভিনন্দন। যারা বিজয়ী হতে পারেননি তাদের জন্যেও শুভকামনা। দিনশেষে জয়-পরাজয় মেনে নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ব্রাহ্মণপাড়াকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে তৈরী করতে কাজ করবেন এটাই সরকারের প্রত্যাশা। ’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানে সার্বিক দিক নির্দেশনার জন্য জেলা প্রশাসক স্যারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ সুপার মহোদয় ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসকে। সার্বিকভাবে সারাক্ষণ উপজেলা প্রশাসনকে সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাচন অফিস ও সকল রিটার্নিং অফিসারকে ধন্যবাদ। নির্বাচনে ভোটগ্রহণকালে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন সেই বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বাহিনী, বিজিবি, আনসার, র‌্যাব ও অন্যান্য এজেন্সির সদস্যদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’