বুড়িচংয়ে চাঞ্চল্যকর খায়ের হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
Published : Saturday, 9 October, 2021 at 12:00 AM
বুড়িচং
প্রতিনিধি।। কুমিল্লার বুড়িচংয়ে চাঞ্চল্যকর আবুল খায়ের হত্যা মামলার
আসামিরা জামিনে এসে বাদী পক্ষকে হুমকি ধমকি ভয় ভীতি প্রদর্শণের অভিযোগে
কুমিল্লা সালদা সড়কের কালিকাপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৭ সনে
সংঘটিত চাঞ্চল্যকর এ খায়ের হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে গতকাল ৮
অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত খায়েরের পরিবার ও
এলাকাবাসী উদ্যোগে কুমিল্লা সালদা সড়কের বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের
কালিকাপুর বাজার সড়কে উক্ত মানববন্ধন সম্পন্ন করে।
ঘটনার বিবরণ ও
স্থানীয় সূত্র জানায়- বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে
সুলতান আহম্মেদ ও সুন্দর আলীর পরিবারের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল।
উক্ত বিরোধের জের ধরে গত ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতের আঁধারে প্রতিপক্ষরা
সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে সুলতান
আহাম্মদ পরিবারের ৫ জন সদস্যকে ধারালো অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত
জখম করে। ওই সময় আহতরা হলো- আবুল খায়ের, রোকেয়া বেগম, রুবেল, বিউটি আক্তার,
সুমন, আখী আক্তার।
এর মধ্যে আবুল খায়েরকে ঢাকা বাটা সিগন্যাল জেনারেল
হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১১
ফেব্রুয়ারি রাতে মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় হত্যা মামলায় দায়ের
করা হলে প্রতিপক্ষ আসামিরা তাদের বসতভিটি ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপনে চলে যায়।
গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত
ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা মো. শহীদুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বাসার তোতা
মিয়া, প্যানেল চেয়ারম্যান লিটন রেজা, আ: মান্নান, পারভেজ বাবু, শাহপরান
মান্জন, নিহত খায়েরের গর্ভধারীনি মা রোকেয়া বেগম, রফিজুল ইসলাম মেম্বার,
নুরুল ইসলাম মাস্টার, সাইফুল ইসলাম রাজীব, শাহজাহান বাসার, সুমন, শাকিল,
সোহেল, কাউছার, এবাদুলসহ এলাকার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। মানবন্ধনে প্রায় ৭
শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বাদী সুলতান আহাম্মদ মানববন্ধনে
সাংবাদিকদের জানান, বিগত কয়েক বছর তারা আদালত থেকে হাজিরা আসার সময় আসামি
পক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময় তাদেরকে আটক করে নাজেহাল করে আসছে। মানববন্ধনে
বক্তারা আইনের আওতায় এনে আসামীদের ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি জানান। এদিকে,
আসামি পক্ষের মো. জসিম উদ্দীন জানান- আমরা যেহেতু আদালত থেকে জামিন পেয়েছি
তাই আমাদের বসতভিটায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই। আমরা কারো সাথে আর
দ্বন্দ্বে জড়াতে চাই না।