সিলেটের
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমা সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত
অবস্থায় থাকা জাকারিয়া আহমদ (২৩) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
করেছে ভারত।
শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে ভারতের পুলিশ কোম্পানীগঞ্জ থানা
পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। এসময় বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত
ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারতের পিনারসালা থানা
রপুলিশ জাকারিয়া আহমদের এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। জাকারিয়া
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছড়ার বাজারের লামা গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে। গত
সোমবার তিনি বিয়ে করেন।
জাকারিয়ার মৃত্যুর ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে বিজিবি। বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কোম্পানীগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের
অভ্যন্তরে বাংলাদেশি নাগরিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। বৃহস্পতিবার
দুপুর ১২টার দিকে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) উৎমা বিওপিতে মো. গিয়াস
উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি এসে জানায়, তার ভাতিজা মো. জাকারিয়া আহমদ সকালে
বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় লোকজন সীমান্ত
পিলার ১২৫৮/২০-এস থেকে আনুমানিক ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছে তাকে
ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
বিজিবি আরও জানায়, এই সংবাদের ভিত্তিতে মৃত
ব্যক্তির চাচা মো. গিয়াস উদ্দিনকে পুলিশি সহায়তার জন্য দ্রুত থানায় জিডি
করতে পরামর্শ দেয়। পরে সিলেট ব্যাটালিয়নকে (৪৮ বিজিবি) বিষয়টি জানানো হয়।
বিএসএফ মরদেহের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভারতের পিনারসালা থানায় সংবাদ দেয়।
স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে জাকারিয়া বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে
তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা
জানতে পারেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১২৫৭ নম্বর মেইন পিলারের ২০ নম্বর
ছাফ পিলারের নিকটবর্তী ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছের ডালে দড়িতে ঝুলন্ত একটি
মরদেহ দেখা গেছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তির পরিবার মরদেহটি
জাকারিয়ার বলে শনাক্ত করে।
জাকারিয়া আহমদের বাবা আলাউদ্দিন জানান, কারও
সঙ্গে জাকারিয়ার সমস্যা ছিল না। বুধবার রাতে তারা সবাই একসঙ্গে খাবার খেয়ে
ঘুমিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। বেলা
১১টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে তার ছেলে ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে গাছের
সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন বলে খবর পান আলাউদ্দিন।
বিজিবির ৪৮
ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, বাংলাদেশি
যুবকের মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে হওয়ায় বাংলাদেশের পুলিশ ও বিজিবি সেখানে
যেতে পারেনি। রাতে ভারতের পিনারসালা থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।