কুমিল্লার
দেবিদ্বারে একটি নির্জন পুকুরে ভাসমান বিবস্র অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয়ের এক
তরুণীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। সোমবার (২ জুন)
বিকেলে গুনাইঘর (উত্তর) ইউনিয়নের রনপাগলা গ্রামের সামসুল হক মাস্টারের
বাড়ির পুকুরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন,
মনিরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতিবেশী সামসুল হকের বাড়ির
পুকুরপাড়ে ভাসমান অবস্থায় এক নারীর বিবস্ত্র অবস্থায় অর্ধগলিত নারীর
মরদেহ দেখে সবাইকে জানায়। এসময় বাড়ির অন্যরা ছুটে এসে ভাসমান অবস্থায়
তরুণীর মরদেহ দেখেন। তবে তাঁরা কেউ তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। এরপর
তাঁরা দেবিদ্বার থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা থেকে একদল
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসেন।
পুকুরের
মালিক সামসুল বলেন, “ পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায়
নিয়ে যায়। মৃত তরুণীকে গ্রামের কেউ চিনে না। আমরা আশ-পাশের এলাকায়ও খোঁজ
নিয়েছি কোন নিখোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। কোথায় থেকে এ মরদেহ এলো আমরা বলতে
পারব না। তবে কোন দুর্বৃত্ত তাকে হত্যা করে বা ধর্ষণের পর হত্যা করে
পুকুরে ফেলে রেখে যেতে পারে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস পুলিশ বলেন, তরুণীর গাঁয়ে পড়নের জামার কিছু অংশ
ছিল। তার মুখ গলে যাওয়ায় মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় আমরা
খবর জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউ মরদেহের সন্ধান করেননি। মরদেহটি
ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত এবং ঘটনা সম্পর্কে জানা
যাবে। এছাড়াও আমরা তদন্ত চালাচ্ছি।