দীর্ঘ ১৮ বছর পর কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
টি-টোয়েন্টি
ফরম্যাটের এ টুর্নামেন্টে তিন জেলার অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে
দুটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে – সবুজ দল এবং লাল দল।
কুমিল্লা বিভাগীয় এ
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার
খেলোয়াররা। এ টুর্নামেন্টে স্থানীয় ও জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়ারাও
অংশগ্রহণ করে। বিনা টিকিটে খেলা উপভোগ করতে শতশত দর্শক।
কুমিল্লার শহীদ
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে খেলায় টসে জিতে সবুজ দল প্রথমে ব্যাট করার
সিদ্ধান্ত নেয়। মেহেদী হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৯ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে
১৫৩ রানের একটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে সবুজ দল।
পরে, জয়ের জন্য ১৫৪
রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে লাল দল। প্রথমে নাজুক অবস্থা থাকলেও দলের হাল
ধরেন নাহিদ ও সুমন। দুজনের পার্টনারশিপে রানের পার্থক্য কমিয়ে আনেন তারা?
পরে, সবুজ দলের সানজিদ মজুমদারের বোলিংয়ের সামনে কাবু হয়ে যায় লাল দল। ৪
উইকেট হাতিয়ে নেয় সানজিদ। কিন্তু, লাল দলের নাহিদের ব্যাটিং জড়ে হাফ
সেন্সুরি ও নাহিদ-ইয়াসির জুটির কাছে হার মানতে বাধ্য হয় সবুজ দল। ঘুরে
দাঁড়ায় লাল দল? ৪ উইকেট হাতে রেখে ও ১৯ ওভারে ইয়াসির আরাফাতের বাউন্ডারির
মাধ্যমে লাল দল নিজেদের ঝুড়িতে টার্গেট রান তুলে নেয়? সবুজ দলের দৃঢ়
বোলিংয়ের সামনে লাল দল নিজেদের ব্যাটিংয়ের জড় দেখিয়ে এভাবেই একটি
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জয় তুলে নেয়।