থানা
পর্যায়ে কমিটি করার জন্য ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। শনিবার
(২ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এ নিয়ে পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক
কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. জাতীয় নাগরিক কমিটির সব থানা পর্যায়ের কমিটি ‘প্রতিনিধি কমিটি’ হিসেবে পরিচিতি পাবে।
২. প্রতিনিধি কমিটির সবাই থানা প্রতিনিধি নামে পরিচিতি পাবে।
৩. প্রতিটি প্রতিনিধি কমিটি গঠনের ৬০ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে।
৪. জেলা পর্যায়ের থানা কমিটির সর্বনিম্ন সদস্য সংখ্যা হবে ২১ জন এবং মহানগরের থানা কমিটি সর্বনিম্ন ৩১ জন হবে।
৫.
সব কমিটিতে সর্বনিম্ন ২৫ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ শহীদ পরিবার বা আহত
অভ্যুত্থানকারী, ৫ শতাংশ সংখ্যালঘু, ৫ শতাংশ কৃষক, শ্রমিক শ্রেণি এবং
এলাকাভিত্তিক সব জাতিসত্ত্বার প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে। প্রতিনিধি কমিটি হতে
আহ্বায়ক কমিটিতে রূপান্তরিত হতে হলে সব ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হবে।
৬.
সর্বোপরি শিক্ষক, আইনজীবী, লেখক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, গৃহিণী ও
ধর্মীয় ক্ষেত্রে তরুণ (বয়স অনূর্ধ্ব ৫০) নেতৃত্বের সমন্বয় করতে হবে।
৭. পঞ্চাশোর্ধ সম্মানিত নাগরিকরা একটি পরামর্শক কমিটির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে কাজ করবেন।
৮. থানা পর্যায়ের কমিটিতে থাকার ক্ষেত্রে উক্ত থানার বাসিন্দা হতে হবে।
৯. আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কোনও অংশীজন বা সুবিধাভোগী কমিটিতে থাকতে পারবে না। অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করতে হবে।
থানা পর্যায়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনাথানা পর্যায়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা
প্রসঙ্গত,
আত্মপ্রকাশের দিন জাতীয় নাগরিক কমিটি সব পাড়া মহল্লাসহ ইউনিয়ন পর্যায়
পর্যন্ত নাগরিক কমিটির কমিটি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সেই আলোকে তারা কমিটি গঠন
করতে সভা-সমাবেশ ও সেমিনার করে যাচ্ছে।