আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারে সাবেক ১০ সংসদ সদস্যসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। কমিশনের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
অভিযুক্ত সাবেক সংসদ সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম-১২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, নোয়াখালী–৪ আসনের একরামুল করিম চৌধুরী, রাজশাহী–১ আসনের ওমর ফারুক চৌধুরী, ফেনী–১ আসনের আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, নেত্রকোনা–৩ আসনের ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার, কুমিল্লা–৫ আসনের এম এ জাহের, ময়মনসিংহ–১০ আসনের ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, নীলফামারীর–১ এর আফতাব উদ্দিন সরকার।
এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসন–১৬ এর সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর, সহসভাপতি বৃষকেতু চাকমা, অংসিপ্রু চৌধুরী ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক রেমলিয়ানা পাংখোয়া।
এই ১৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধান তথ্য আমলে নিয়ে তাদের দুর্নীকি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
বিভিন্ন সময়ে দুদকে অভিযোগ আসলেও ক্ষমতাসীনদের চাপে দুদক সরকার দলীয় এসব এমপি-মন্ত্রীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে জানিয়েছে দুদকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
সম্প্রতি দুদকের গণহারে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম । তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের তোষামদি করা দুদকের পুরোনো স্বভাব। ক্ষমতাসীনদের তোষামদি করে দুদকের নেওয়া যে কেনো কর্মকাণ্ড সংস্থাটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এর আগে দুদক পতিত সরকারকে তোষামদি করেছে এখন, করছে বর্তমান সরকারের!
তিনি আরও বলেন, দুদকের প্রতি মানুষের বিশ্বাসের সংকোচ আগে থেকেই ছিল। দুদকে প্রতিটি সিদ্ধান্ত বুঝে শুনে না নিলে দেশের মানুষের কাছে বিশ্বাস ও আস্থার সংকটে পরবে।’ এ সময় দুদককে শ্রোতের সঙ্গে নয়, ক্ষমতা প্রয়োগে নিজেদের সক্ষমতা ও আইন মানার পরামর্শ দেন সাবেক এই মহাপরিচালক।