কুমিল্লার
দেবিদ্বারে রাস্তার জায়গার বিরোধের জেরে প্রভাব খাটিয়ে বসত বাড়ির বেড়া
ভাঙচুর ও গাছপালা কাটার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
সোমবার
সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধামতী গ্রামের মাদরাসা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ
বিষয়ে ভুক্তভোগী ফাহাদ বিন ওবায়েদ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ফখরুল আহাম্মদসহ ৮
জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনের নামে দেবিদ্বার থানায় একটি
লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ফখরুল আহাম্মদ ওই গ্রামের বারেক
মাস্টারের ছেলে। অন্য অভিযুক্তরা হলেন একই বাড়ির বারেক মাস্টার, আমিনুল
ইসলাম বাবু, নাজমুল ইসলাম, নাইমুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম এবং
ফয়েজ আহাম্মদ।
লিখিত ওই অভিযোগে ভুক্তভোগী ফাহাদ উল্লেখ করেন, ২০ থেকে
২৫ জন লোক হাতে দা, শাবল, লোহার পাইপ নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বেঁড়া
ভাঙচুর ও বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ কেটে ফেলে। আমরা ভয়ে বাঁধা দিতে
যায়নি। দূর থেকে দাঁড়িয়ে ঘটনার ভিডিও করেছি। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ
সদস্য ফখরুল আহাম্মদসহ অন্যন্য আসামীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে
বিভিন্ন গাছপালা কেটে ফেলছে এবং
ফাহাদ বিন ওবায়েদ বলেন, ফখরুল আহাম্মদ
পুলিশে চাকরি করায় এর প্রভাব খাঁটিয়ে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বাড়িতে
হামলা চালিয়ে বাড়ির বেড়া ভাঙচুর ও গাছপালা কেটে ফেলে। আমরা রাস্তার জন্য
তিন ফুট জায়গা দিলেও তারা আরও জায়গা চায়। তাদের বাড়িতে নাকি গাড়ি যায় না।
তারা এখন জোরপূর্বক জায়গা দখল করে নিয়েছে। এখন তাঁরা আমাদের বিভিন্ন হুমকি ও
প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত
অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ফখরুল আহাম্মদ
বলেন, জায়গা ভরাট করে রাস্তার জন্য আমরা তিন ফুট জায়গা ছেড়ে বাউন্ডারি
দেয়াল নির্মাণ করেছি। কিন্ত তাঁরা ৩ ফুট জায়গা না দিয়ে বেঁড়া ও গাছপালা
লাগিয়ে দেন। তাই আমরা ভেঙে ফেলেছি। পুলিশ সদস্য হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেননি
কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।
দেবিদ্বার
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ফাহাদ বিন ওবায়েদ নামে
একজন ভাঙচুর ও গাছপালা কাটার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা
হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।