বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫
১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী
প্রকাশ: সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪, ১২:২৯ এএম |

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী
২০২২ সালের ২৫ জুন প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক, দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রচিত হয় নতুন ইতিহাস। বিজয়ডঙ্কা বাজিয়ে জাতি বিশ্বকে দেখিয়ে দেয় ‘আমরাও পারি’।
দেখিয়ে দেয় সক্ষমতা। গত ৩০ জুন এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। গত শনিবার ছিল পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান।
২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০ হাজার কোটি টাকায় কেবল কংক্রিটের সড়ক সেতু করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নকশা পরিবর্তন করে।  ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকায় নির্মিত ৬.১৫ কিলোমিটার সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে নিয়মিত গাড়ি চলছে। ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্পটিতে যুক্ত থাকার কথা ছিল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর। পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সংস্থাগুলো।
২০১৪ সালের নভেম্বরের শেষে সেতুর কাজ শুরু হয়। আট বছর পর চালু হয় সড়ক যোগাযোগ।
পদ্মা সেতু সত্যিকার অর্থেই এক স্বপ্ন। সেতু উদ্বোধনের পর পদ্মার দুই পারে মানুষের যে উচ্ছ্বাস, যে আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছিল, এককথায় তা অনন্য। পদ্মা-স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পর দুই পারের মানুষ নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। এ স্বপ্ন এক নতুন দিনের, নতুন শুরুর। সমৃদ্ধির এক নবযাত্রার নতুন ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। পুরো দেশ একটি রেখায় যুক্ত হয় পদ্মা সেতুর মাধ্যমে। অথচ পদ্মা সেতুর কাজ যখন শুরু হয়, তখন থেকেই অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তখন অনেকেই বলেছিল, এই দুঃসাহস দেখানো অর্থহীন। দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বলেছিলেন, দেশের মানুষ সঙ্গে থাকলে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাবেন তিনি। দেখিয়েছেন। সেদিনের কথা উল্লেখ করে সমাপনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশবাসী পাশে ছিল বলেই জ্ঞানী-গুণীদের বাধা সত্ত্বেও সব অতিক্রম করে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এখন আমরা বুক ফুলিয়ে গর্বের সঙ্গে চলছি।’ ‘আগামী দিনে যত বাধাই আসুক, অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’-এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। তাঁর বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনেক ঝড়ঝাপটা পার করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়েছে।’
পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার ও মর্যাদার প্রতীক। বিশ্বাস ও আত্মশক্তির প্রতীক। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় পদ্মা সেতু এক নতুন বার্তা দিয়েছে। দেখিয়েছে, চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করার ক্ষমতা এই দেশটি রাখে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পদ্মা সেতু যে সম্ভাবনার সূচনা করেছে, সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করতে হবে।












সর্বশেষ সংবাদ
এক বছরে সাড়ে ৩ শ ধর্ষণের অভিযোগ কুমিল্লায়
সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পেলে ধারনা করা যাবে নির্বাচন কবে হবে: সিইসি
আজ কুমিল্লায় আসছেন সিইসি
চান্দিনায় মধ্য রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
এক বছরে ৯৬ বেওয়ারিশ লাশ দাফন কুমিল্লায়
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
জিয়া সাইবার ফোর্স- কুমিল্লা উত্তর জেলা কমিটি অনুমোদন
কুমিল্লা ইকরা মডার্ণ স্কুলের বার্ষিক ফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা
কুমিল্লায় বিজিবি অভিযানে ৬০ কেজি গাঁজা জব্দ
চান্দিনায় মধ্য রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আগে সীমানা পুনর্নির্ধারণ নয়’
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২