ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনে সার্ভার ডাউনের কারণে সকাল সোয়া ৮টা থেকে বন্ধ ছিল দুই দেশে যাতায়াতরত যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। এতে আগারতলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটকে পড়েছিলেন চার শতাধিক যাত্রী। পরে দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সার্ভার সচল হলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়।
তবে সার্ভার বন্ধ থাকাকালে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের অভ্যন্তরে বিমান টিকিটধারী যাত্রীদের পারাপারের ব্যবস্থা করে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে দীর্ঘ চার ঘণ্টা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর আগরতলা ইমিগ্রেশনে অবস্থানরত বাংলাদেশি যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইমিগ্রেশন স্টেশনে অবস্থান করতে গিয়ে অনেকটাই ভোগান্তিতে পড়েন। এ সময় সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের অসৌজন্যমূলক আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি যাত্রী হবিগঞ্জের রাজীব দাস বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে আগরতলা ইমিগ্রেশন এসে বসেছিলাম। সার্ভার না থাকায় মানুষের অনেক ভিড় ছিল সেখানে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে অনেক খারাপ আচরণ করেছে।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সার্ভার সমস্যা থাকতেই পারে। সেজন্য যাত্রীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা ঠিক হয়নি। কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা যাত্রীরা স্বাভাবিক কারণেই জানতে চাইবেন, সার্ভার কখন ঠিক হবে।’
ভারত থেকে আসা যাত্রী চট্টগ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সকাল ৮টায় ইমিগ্রেশনে এসে শুনতে পারি, তাদের সার্ভারে সমস্যা হয়েছে। যাত্রী পারাপর বন্ধ রয়েছে। প্রায় চার ঘণ্টা বসে থেকে দুপুরের পর আমরা আসতে পেরেছি। তবে সার্ভার না থাকায় আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি যাত্রীদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে কথাই বলতে চায় না। পার্সপোর্টধারী যাত্রীদের সঙ্গে তাদের এমন আচরণ আমরা প্রত্যাশা করিনি।’
এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা খাইরুল আলম বলেন, ‘সকালে বিএসএফ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আমরা তাদের সার্ভার সমস্যার কথা জানতে পারি। এ জন্য সকাল থেকে স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। এতে আখাউড়া প্রান্তে অন্তত দুইশ এবং আগরতলা প্রান্তে আরও দুই শতাধিক যাত্রী আটকে পড়েছিলেন। পরর্বতী সময়ে যাদের বিমানের টিকেট আগে থেকে কাটা ছিল তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে দুপুরের পর সার্ভার ঠিক হলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়।’