নিজস্ব
প্রতিবেদক: প্রতিদিনই কুমিল্লায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে
স্যালাইন সংকট। ওষুধ ব্যবসাযীরা বলছে স্যালাইন কোম্পানিগুলো তাদের পর্যাপ্ত
স্যালাইন সরবরাহ করছে না। ডেঙ্গু রোগীর স্বজনরা দোকানে ওষধ কিনতে গিয়ে
পড়ছেন ভোগান্তিতে। স্যালাইন সংগ্রহের জন্য ঘুরছেন বিভিন্ন দোকানে দোকানে।
অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি দাম পেলে স্যালাইন তুলে দিচ্ছেন রোগীর স্বজনদের
হাতে। এ জাতীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার আজ সকালে অভিযান পরিচালনা
করে নগরীর ফার্মেসী গুলোতে। এসময় স্যালাইন লুকিয়ে রাখা ও বেশি দামে
বিক্রির অভিযোগে পাঁচটি ফার্মেসীকে জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার
সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম। অভিযানে জব্দ করা কিছু সেলাইন ডেঙ্গু
আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ
হিসেবে বেশ কিছু ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়েছি৷ পাঁচটি ফার্সেমীকে স্যালাইন
লোকিয়ে রেখে সঙ্কট তৈরীর অভিযোগে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া
কিছু স্যালাইন জব্দ করা হয়েছে। এগুলো ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের মাঝে বিতরণ
করা হয়েছে'।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার জানান, জেলা ও উপজেলা
হাসপাতাল গুলোতে সেলাইন সংকট নেই। তবে বাইরে কৃত্রিম সেলাইন সংকট তৈরী করা
হয়েছে বলে শুণেছি। জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭শ
৫৪ জন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৮শ ৫৪জন। ডেঙ্গুতে কুমিল্লায় এখন
পর্যন্ত একজন মারা গেছেন।