প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১০:৪২ পিএম |

কুমিল্লা
সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ৭৮ ফ্ল্যাটের মালিক কিভাবে হলেন সাধারণ মানুষকে জানতে হবে বলে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, আমি সিটি কর্পোরেশন তৈরি করলেও দীর্ঘদিন মেয়র বানাতে পারিনি। উল্টাপাল্টা নমিনেশন দিয়ে দেয় আমার দল; আর মেয়র হয়েছে সাক্কু। আপনাদের টাকা লুট করে ৭৮ টা ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছে সাক্কু সাহেব। কোন প্ল্যান টাকা ছাড়া পাস করায়নি সাক্কু সাহেব । বড় বড় হাইরেজ বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাশ করানোর জন্য টাকাও নিয়েছে ফ্ল্যাট ও নিয়েছে। ৮০ লক্ষ টাকা নিয়েছে একটা প্ল্যান পাস করাতে, এসআর প্ল্যানেটের। ৮৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে দীপিকা মার্কেটের। এরকম আর অনেক তথ্য আছে আমার কাছে। তিনি গতকাল রাতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এমপি বাহার আরো বলেন, ১৪ মাস হয়েছে আমাদের আরফানুল হক রিফাত দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি পরিছন্নতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে কেউ যদি বলতে পারেন তিনি ঘুষ গ্রহণ করেছে, তাহলে নামিয়ে দিব। আমি চাঁদাবাজ মুক্ত কুমিল্লার ঘোষণা দিয়েছি। আমি পুলিশ সুপারকে বলেছি চাঁদাবাজ যদি আমার কাছের কেউও হয় তাকেও ছাড় দেয়া যাবে না। শান্তির কুমিল্লায় কোন চাঁদাবাজ ও ইভটিজার থাকতে পারবে না।
সম্মেলনে কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।