প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩, ১২:৪৯ পিএম |
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। তিনি জানান, বাংলাদেশের সব হাসপাতালেই ডেঙ্গু কর্ণার আছে। যেখানে সুযোগ আছে সেখানে কিছু জায়গায় পৃথক ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা হয়েছে, কোথাও পুরো হাসপাতালই অঘোষিত ডেঙ্গু হাসপাতাল হয়ে গেছে । আমাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৫০০ বেডের হাসপাতাল,এখানে এখন ১৪০০ রোগী থাকে। তাই অনেক রোগী ভাল চিকিৎসার জন্য ফ্লোরেই থেকে যাচ্ছে। ডেংগুর পৃথক ওয়ার্ড করলে এ ফ্লোরের রোগীর সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে, ডেংগুর বেশী খারাপ রোগী গত সাত মাসে চার- পাঁচটা একটাও গত কয় বছরে মৃত্যু নেই, কিন্তু অন্যান্য রোগে অনেক খারাপ রোগী নিয়মিত আসছে , তবুও আমরা এমবিবিএস প্রফেশনাল পরীক্ষার পর (চার- পাঁচ দিন পর) ডেঙ্গু ওয়ার্ড করব।
তিনি বলেন, মশা এক রুম থেকে আরেক রুমেও অনায়াসেই ঢুকে। তাই রোগী ডেঙ্গু কর্ণারে থাকুক আর ডেঙ্গু ওয়ার্ডে থাকুক কিংবা বাসায় চিকিৎসা নিক-- ডেঙ্গু রোগীকে সারাক্ষণ মশারীর মধ্যেই থাকতে হবে ভালো না হওয়া পর্যন্ত । কুমিল্লা মেডিকেলে আমাদের ডেঙ্গু কর্নার করেছি সাত / আট তলায়; যেখানে নীচ তলার চেয়ে মশা কম এবং রেগীরা লিফটে উঠছে। আমরা হাসপাতালে সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে মশক নিধন ও ডেঙ্গু ওয়ার্ডে এরোসলসহ মশক নিধন ও ডেঙ্গু রোগীকে সারাক্ষণ মশারীর মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করেছি। খুব শীঘ্রই ( তিন - চার দিনের মধ্যে) এমবিবিএস পরীক্ষা শেষে আটতলার পরীক্ষা হল রুমটি ডেঙ্গু ওয়ার্ড করব।
আমাদের এই হাসপাতালটি ১০০০ শয্যায় উন্নীত করার চেষ্টায় আছি। এখানে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, বি বাড়িয়া থেকেও প্রতিদিন রোগী আসে বলেও জানান তিনি।