দাউদকান্দি
উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা গ্রামে কোদাল দিয়ে পিটিয়ে
শারীরিক প্রতিবন্ধী এক বৃদ্ধকে হত্যা করেছেন পল্লী চিকিৎসক। মঙ্গলবার সকাল
পৌনে ৭ টায় এ ঘটনা ঘটে। সিসিটিভিতে রেকর্ড ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিও মুহুর্তের
মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির
সামনে পাকা সড়কে হুইল চেয়ারে বসে ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ আমির হোসেন
(৬৫)। এসময় হঠাৎ কোদাল নিয়ে তাকে আঘাত করেন পল্লী চিকিৎসক ওসমান গনি নাসিম
(৫৫)। কোদালের আঘাতে আমির হোসেন হুইল চেয়ার থেকে মাটিতে পড়ে যান। এরপরও
কোদাল দিয়ে তাকে পেটাতে থাকেন ওসমান গনি নাসিম।
সংবাদ পেয়ে আমির হোসেনের
লোকজন তাকে উদ্ধার করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। স্থানীয় লোকজন
তাদেরকে উদ্ধার করে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ
আমির হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন।
আহত হাবিবুর রহমান (৩০) কে উন্নত চিকিৎসার
জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং শরীফ (২৫) ও
মহিউদ্দিন (২২) কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
এ ঘটনায় পল্লী
চিকিৎসক ওসমান গনী নাসিমসহ ৯ জনকে আসামি দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের
করেছেন নিহত আমির হোসেনের মেয়ে সালমা আক্তার।
দাউদকান্দি মডেল থানার
অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁঞা জানান, টামটা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক
ওসমান গনি নাসিম এবং মোঃ আমির হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা
সংক্রান্তে বিরোধ চলে আসছিল। সম্পর্কে তারা আপন মামাতো ফুপাতো ভাই। উক্ত
বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে মোঃ আমির হোসেন (৬৫) বাড়ীর সামনে পাকা
রাস্তার উপর গেলে তাকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষ ওসমান গনি নাসিম (৫৫)
অতর্কিতভাবে হামলা করলে আমির হোসেন গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে
চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ আমির হোসেন উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে।
এঘটনায়
পুলিশ টামটা গ্রামের মৃত শহিদুল্লাহ মাষ্টারের তিন ছেলে ওসমান গনি নাসিম
(৫৫), মোঃ শামীম ওসমান (৪৮) ও মোঃ শাহাদাৎ (৩৫) এবং ওসমান গণি নাসিমের দুই
ছেলে মোঃ সিয়াম (২৭) ও মোঃ সিহাব (২৯) কে গ্রেফতার করে।
নিহতের লাশ ময়না
তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে
প্রেরণ করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ নজরদারি
জোরদার করা হয়।