
গত
দুইদিন ধরে কুমিল্লা মাঝারি ও ভারি বর্ষণে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে।
শুক্রবার সকালে টানা বর্ষণে শীতল আবহাওয়া গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহ ভুলিয়ে
দিয়েছে। শীতল হাওয়া আর বৃষ্টিতে ভিজেছেন অনেকেই ইচ্ছা মত। এদিকে কেন্দ্রীয়
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সাগরের লঘুচাপ থাকায় বৃষ্টি বাড়তে পারে আরো কয়েক
দিনের জন্য। টানা এই বৃষ্টিপাত দাবদাহু কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
শুক্রবার
সকালে দেখা গেছে, অঝর বৃষ্টিতেও জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। কর্মজীবীরা
স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাজকর্ম করেছেন। অনেকেই স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজে
গিয়েছেন একই স্থান থেকে অন্য স্থানে। শিশু ও তরুণদের দেখা গেছে বৃষ্টিতে
ভিজেই তারা যাচ্ছে কোচিংয়ে এবং প্রাইভেটে, খেলার মাঠে। অনেকে শখের বসেই
ভিজেছেন বৃষ্টিতে। টানা বৃষ্টিপাত হলেও নগরীর কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরি হয়নি।
তবে যেসব এলাকায় ড্রেন মেরামতের কাজ চলছে সেসব এলাকার মানুষকে পোহাতে হচ্ছে
উন্নয়ন ভোগান্তি।
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ইসমাইল ভূইয়া
জীবন বলেন, মৃদু-মাঝারি তাপপ্রবাহ ও বাতাসে আর্দ্রতার আধিক্যের কারণে গত
কয়েক দিন আবহাওয়া খুব অস্বস্তিকর ছিল।বাড়তি তাপমাত্রার পাশাপাশি বায়ুতে
জলীয়বাষ্পের আধিক্য গরমের পরিস্থিতিকে চরম অস্বস্তিকর করে তুলেছিল। ৮ জুন
বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমীবায়ু তথা বর্ষার বায়ু কুমিল্লা
জেলাকে স্পর্শ করায় জেলা জুড়ে বর্ষার বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম(৪.০ মিলিমিটার) হলেও বিকাল নাগাদ আর্দ্রতাজনিত
অস্বস্তি কিছুটা কেটেছে। গতকাল ৯ জুন সমগ্র জেলায় মোটামুটি ভারী বর্ষণ
হয়েছে। শুক্রবার কুমিল্লা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৮৩
মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। গতকালের ভারী বর্ষণের ফলে চলমান
অস্বস্তিকর গরমের অনুভূতি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। মৌসুমীবায়ুর প্রভাবে আগামী
কয়েকদিন বিরতি-সহ জেলায় দমকা/ঝড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
তবে, বর্ষা চলাকালীনও কিছুটা ভ্যাপসা-ভাব বিরাজ করতে পারে। কেননা, এসময়
তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক/কম থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতার আধিক্য থাকে।
