
স্টাফ
রিপোর্টার: দুর্ঘটনার ‘হটস্পটে’ পরিণত হয়েছে পুরাতন কুমিল্লা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের চৌয়ারা বাজার এলাকা। ওই স্থানটিতে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি
দুর্ঘটনায় কয়েকজনের প্রাণহানিসহ আরো কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এলাকাবাসীর
অভিযোগ ও পূর্বে ঘটা দুর্ঘটনার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব দুর্ঘটনার
বেশিরভাগই সংঘটিত হয়েছে মদিনা বাস সার্ভিসের কারণে। সেসব ঘটনার রেশ কাটতে
না কাটতেই আবারও ঘটলো দুর্ঘটনা। এবারও ঘাতক মদিনা বাস সার্ভিস। শনিবার
রাতের এই দুর্ঘটনায় আহত একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাকে
হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় মদিনা পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় সিএনজির দুই যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরো চারজন।
শনিবার
(৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম
পুরাতন মহাসড়কের চৌয়ারা এলাকায় আবারো বাস-সিএনজি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক জিয়াউর রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর
চৌয়ারা বাজার এলাকায় বাসটিকে আটক করে স্থানীয়রা। এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে
মদিনা পরিবহনের বাসটি ভাংচুর করে। পরে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের একটি দল
গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এই ঘটনায় সড়কটিতে প্রায় এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ
ছিলো। এ প্রসঙ্গত এই সড়কে সাম্প্রতিক সময়ে পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনায় কয়েজন
হতাহত হয়েছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
দেবাশীষ চক্রবর্তী জানান, দুর্ঘটনায় কোন প্রাণহাণি ঘটেনি। উত্তেজিত লোকজন
বাসটি ভাংচুর করে। আহত সিএনজি চালককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায়
চৌয়ারা বাজার এলাকায় কুমিল্লামুখী একটি দ্রুতগামী মদিনা বাস একটি সিএনজিকে
ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে যায়। সিএনজিতে থাকা চালক জিয়াউর রহমান
গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর চৌয়ারা এলাকাবাসী বাসটিকে আটক করে এবং ভাংচুর
চালায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় এলাকাবাসী জানায়,
দ্রুতগামী বাসের কারনে এই এলাকায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার কোন সুষ্ঠ
বিচার না হওয়ায় বারবার দুর্ঘটনার পরও পার পেয়ে যান বেপরোয়া চালকরা।
