চৌদ্দগ্রাম সংবাদদাতা:
কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে সরকারি সহযোগিতায় পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে বাম্পার ফলন
পেয়ে কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর ফলনও হয়েছে
ভালো। আশানুরুপ মূল্য পেলে আগামীতে আরো বেশি আবাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে
কৃষকরা। এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা কৃষি
অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়,এই বছর ৫০ জন কৃষকের
মাঝে প্রণদনা দিয়েছি,যা গত বছরের দ্বিগুন।প্রতি কৃষকে ২ কেজি করে উন্নত
মানের সূর্যমুখী বীজ,১৫ কেজি ডেপ্ত সার,১০কেজি পটাশ সার প্রণোদনা দেয়া
হয়।গতবারে ২০বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়।এবার তা বেড়ে ৫০বিঘা
জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্যমুখীর বীজ
থেকে উৎপাদিত তেলে লিনোলিক এসিড থাকে যা হার্টের জন্য ভালো। সূর্যমুখী
তেলের উৎপাদন বাড়লে মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত তেল পাবে, চাষিরাও লাভবান হবেন।
কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ থাকায় ওই এলাকার আরও অনেকেই সূর্যমুখী চাষে
আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলার
মুন্সিরহাট ইউনিয়নের কৃষক মনোহর আলীসহ অনেক কৃষক এবার পতিত জমিতে সূর্যমুখী
আবাদ করেছে। কৃষক মনোহর আলীকে দেখে অনেকে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়েছে।
এতে উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখীর আবাদ। ন্যার্য মূল্য পেলে আগামীতে
আরো বেশি সূর্যমুখী চাষ করবে বলে জানান কৃষকরা। কৃষক মনোহর আলী জানান, তিনি
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে এই সূর্যমুখী চাষ
করেন। যদি তিনি ন্যার্য মূল্য পায়, তাহলে আগামীতে আরো বেশী করে এই
সূর্যমুখী চাষ করবে।একই কথা জানান ওই এলাকার একাধিক প্রান্তিক কৃষক।
উপজেলা
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আল-আমিন জানান, পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষে তিনি
কৃষকদের উৎসাহিত করছেন। কৃষকরা যদি ন্যায্য মূল্য পায় তাহলে তাদের দিয়ে আরো
বেশি সূর্যমুখী চাষ করানো যাবে।এলাকার কৃষকরা জানায় আগে তারা শখের বসে
অনেকে সূর্যমুখী ফুলের বাগান করতো। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূর্যমুখী ফুলের
বীজ থেকে উন্নতমানের তেল উৎপাদন হওয়ার বিষয়টি কৃষকদের বুঝাতে সক্ষম হয়।
চৌদ্দগ্রাম
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুব্রত রায় জানান, এখানকার মাটি সূর্যমুখী
চাষের জন্য উপযোগী। এই এলাকায় অনেক অনাবাদি জমি রয়েছে। এবার উপজেলায় ৫০বিঘা
জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সূর্যমুখী চাষের মাধ্যমে
এলাকার সকল অনাবাদি জমিগুলোকে চাষের আওতায় আনতে। এ জন্য সরকার কৃষকদের
প্রনোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। যারা এখন সূর্যমুখী আবাদ করেছে
ন্যায্য মূল্য পেতে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। এছাড়াও আগামীতে যে কোন কৃষক
সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হলে আমরা তাদের সব রকমের সহযোগিতা করবো।