মাদারীপুর সদ?রে রাজিব সরদার হত্যা মামলায় ২৩ জনকে ফাঁসি এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড
পাওয়া আসামিরা হলেন-আব্দুল হাই হাওলাদার, আব্দুল হক হাওলাদার, জহিরুল
হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাজা হাওলাদার, কালু হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার,
তুষার শরীফ, ইউসুপ হাওলাদার, আজিজুল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, রেজাউল
হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, আহাদ হাওলাদার, দলিলউদ্দিন হাওলাদার, অলিলউদ্দিন
হাওলাদার, জসিম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সুমন শরীফ, সাগর শরীফ, হাফিজুল
কাজী, কালু কাজী, আলাউদ্দিন কাজী।
যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা
হলেন-সেকেন হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার,
নুরুল আমিন হাওলাদার, বাকিবিল্লা হাওলাদার।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র
জানায়, গত ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে
কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। এ সময় তিনি পৌর শহরের হরিকুমারিয়া
এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে
কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর
হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার সময়
তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার তিন দিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে
জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে
মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সদর থানার তৎকালীন
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর
৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। পরে বিচারিক আদালত দীর্ঘ
১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ২৩ জনকে
মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান
করে।
এদিকে এ রায় ঘোষণার সময় ২২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মাদারীপুর
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এটি একটি
ঐতিহাসিক রায়। মামার সঙ্গে বিরোধের জেরে তার ভাগ্নেকে কুপিয়ে হত্যা করেন
প্রতিপক্ষরা। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।