জাতীয়
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে লাকসামে জনপ্রতিনিধি, ইমাম,
শিক্ষক, সাংবাদিকদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ)
সকালে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোস্তফা হলে ব্র্যাক
আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
ডা. নাজিয়া বিনতে আলম।
অবহিতকরণ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লাকসাম
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শিহাব
আহমেদ। আরো বক্তব্য রাখেন, ব্র্যাক'র জেলা প্রোগ্রাম অফিসার কামরুজ্জামান।
কর্মশালায়
জানানো হয়, যক্ষ্মা নিরাময় যোগ্য। কারো এ রোগ হলে সাথে সাথে চিকিৎসা নিতে
হবে। এ রোগের চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেয়া হয়।
আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ সপ্তাহের মধ্যে আর রোগ ছড়ায় না। তাই
আতংকিত না হয়ে সবাই আক্রান্ত রোগীর প্রতি সদয় আচরণ করা উচিত, সবাইকে সচেতন
হতে হবে। পূর্ণ মাত্রায় চিকিৎসায় এ রোগ সেরে যায়। তবে চিকিৎসা অপূর্ণাঙ্গ
থাকলে তা ড্রাগ রেজিষ্ট্রন্স হয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই চিকিৎসায় অবহেলা
করা যাবে না।
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে লাকসামে ২৫০ জন যক্ষ্মা রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া নতুন ৩০ জন সনাক্ত হয়েছে। যা খুবই উদ্বেগজনক।
বিশ্বে
এক তৃতীয়াংশ মানুষ যক্ষ্মায় সংক্রমিত। এ রোগে বছরে ১.৮ মিলিয়ন লোকের
মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩ লাখ নতুন সংক্রমন হচ্ছে। প্রতি বছর ৬৪
হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিশ্বের ২২টি উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ।
সভায় বলা হয়, ফুসফুসে মধ্যে এবং ফুসফুসের বাইরে যক্ষ্মা হয়।