দেবিদ্বার
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও ডেজী চক্রবর্তী বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কাজে
সমন্বয়হীনতার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অবহিত করেছেন
উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।
দেবিদ্বার অফিসার্স ক্লাবের সদস্য
সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. গোলাম মাওলা জানান,
‘দেবিদ্বার উপজেলার প্রশাসনিক কাজে সমন্বয়হীনতা নেই’। সরকারের নীতিমালা
মেনে সুষ্ঠুভাবে দাপ্তরিক সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও কারও
মধ্যে কোন বিরোধ বা দ্বীধাদ্বন্ধ নেই। দেবিদ্বার উপজেলার বিভিন্ন সরকারি
দফতরে মোট ৭০/৮০জন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।
তাদের কেউ ইউএনও’র প্রশাসনিক কাজে সমন্বয়হীতা করেছেন এমন অভিযোগ করেননি।
রবিবার
দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা
বিভাগ, দেবিদ্বার পৌরসভা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সমাজসেবা, প্রকৌশল
অফিস, কৃষি, যুব উন্নয়ন ও সমবায়,পল্লী উন্নয়নসহ বিভিন্ন দফতর ঘুরে ও
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ইউএনও ডেজী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে
প্রশাসনিক কাজে সমন্বয়হীন কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা
অভিযোগ করে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী
চক্রবর্তীকে নিয়ে একটি কুচক্রী মহল তার কাছ থেকে অনৈতিক তদবীরে সুবিধা না
পেয়ে বিভিন্নগণ মাধ্যমে একের পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে
যাচ্ছে। এটি মূল ধারার গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার পরিপন্থী হিসেবে বিবেচিত।
দেবিদ্বার
পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও অফিসার্স ক্লাবের যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী দীপক কুমার সিংহ বলেন, যোগদানের দুই মাসের মধ্যে
একজন ইউএনও সমন্বয়হীনতা বুঝা যায় না। তবে তিনি সকল অফিসারদের সাথে নিয়ে
বিভিন্ন সরকারি সভা সমাবেশ ও দিবস পালন করেছেন। এছাড়াও আমি তাঁর কাছে যখনই
প্রশাসনিক সহযোগিতা চেয়েছি তিনি সহযোগিতা করেছেন।
উপজেলা পরিষদ ভাইস
এড. নাজমা বেগম বলেন, গণমাধ্যমে মিথ্যা খবর জনমনে সংশয় ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি
করেছে। একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যেসকল দক্ষতা থাকার দরকার এর সবই
আছে বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তার। অপর ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ওমানী
বলেন, খুব কম সময়েই ডেজী ম্যাডাম যেভাবে প্রশাসন চালিয়েছেন তা নজিরবিহীন।
তাকে একটি মহল মিথ্যা অভিযোগ এনে বিতর্কিত করার হীন চেষ্টা করেছেন, যা আমরা
প্রত্যাশা করিনি।