বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫
১২ আষাঢ় ১৪৩২
আমার শহর ‘কুমিল্লা’
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম |

আমার শহর ‘কুমিল্লা’শান্তিরঞ্জন ভৌমিক ||
(৩)
আমার শহর কুমিল্লার পূর্বাংশের কথা
    আমার শহর কুমিল্লা তখন ও এখন দু’ভাগে বিভক্ত। অন্তত সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে। রাজগঞ্জকে আমি মধ্যাঞ্চল বিবেচনায় পূর্ব ও পশ্চিম এভাবে বিভক্তের রেখা টানছি। এ অবলোকন অবশ্যই ষাটের দশকের স্মৃতিকাতরতায়।
    রাজগঞ্জের পূর্বাংশ ছিল বাণিজ্যিক এলাকা। তা সাজানো হয়েছিল ব্যবসার ধরণকে বিবেচনা করে। আর নামকরণের সাথে ‘পট্টি’ শব্দটি জড়িয়ে দেয়া হয়। লক্ষ্য করলে দেখবেন-নামগুলো এরূপ-
    দেশওয়ালীপট্টি, পানপট্টি, ছাতিপট্টি, সোনারু (হোনারু)পট্টি, গোয়ালপট্টি, কাপড়িয়াপট্টি, কাঁসারিপট্টি, খড়মপট্টি, বাতাসাপট্টি, তেরিপট্টি ইত্যাদি এবং দুটি পাড়াও পট্টি হিসেবে পরিচিত ছিল- মুচিপট্টি ও ঋষিপট্টি। ছাতিপট্টিতে টিনের-ট্রাঙ-স্যুকেইস এর কারখানা ছিল।
        পট্টি শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘একই পণ্যের সারিবদ্ধ দোকানবিশিষ্ট অঞ্চল।’ এছাড়া আরো দুটি অর্থ আছে- পট্টি>কাপড়ের ছোটো ফালি (জলপট্টি) ও ধাপ্পা, ফাঁকি। কুমিল্লায় বিভিন্ন পট্টি হলো একই পণ্যের সারিবদ্ধ দোকান বিশিষ্ট অঞ্চলকেই বুঝানো হয়েছে। তার সঙ্গে কিছু আনুসঙ্গিক বিষয় জড়িত থাকে। যারা ব্যবসা করেন, তাদেরও নিজস্ব পরিচিতি আছে- হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘সাহা’ সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া আছে বংশনুক্রমিক বনিক, কর্মকার, মোদক বা কুড়ি, স্বর্ণকার, ঘোষ (দুধজাতীয় সামগ্রীর ব্যবসায়ী), কুমার, তেলি, নাপিত ইত্যাদি সম্প্রদায়ের লোক। লক্ষ্য করা গেছে রাজগঞ্জের পূর্বাংশে এসকল সম্প্রদায়ের লোকদের বাসস্থান ছিল অধিক। আরও লক্ষ্য করা গেছে সেদিকে আলিয়া মাদ্রাসা ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না, ছিল না সরকারি অফিস।
    এ অঞ্চলে একশ্রেণি অসামাজিক লোকেরা অনৈতিক রোজগারের জন্য গোপন কাজে নিয়োজিত ছিল। চোর, পকেটমার, বাটপার, গু-া, প্রতারক শ্রেণির লোকেরা এ অঞ্চলে গোপন সংগঠন বা সঙ্গবদ্ধ দল তৈরি করে এরূপ কাজে নিয়োজিত থাকত। ষাটের দশকে এসে দেখেছি- চকবাজারের হাটবার রবিবার ও বৃহস্পতিবার। তবে রবিবারের হাটটি ছিল উল্লেখ্যযোগ্য। সেদিন গবাদি পশু বিকিকিনি হতো। সেদিন দেখা যেত পকেটমারদের তৎপরতা, বা দৌরত্ম্য। রাস্তার কোণে তিন তাসের খেলা, পেট্টি খেলা এবং প্রতারণাচক্রের নানা কৌশল ইত্যাদি সব। তবে এ সব গোষ্ঠির মধ্যে শৃঙ্খলা ছিল, তাদের নীতিতে ছিল বিশ্বস্ত থাকার অঙ্গীকার। এবং তাদের অঞ্চলভেদে কাজের দায়িত্ব দেয়া হতো। তারা লিডারশীপ মানত।
    একবার আমি রাজগঞ্জ বাজারে সকালে বাজার করতে যাই। আমাকে বাসা থেকে আড়াই টাকা দেয়া হয়েছে, মাছ তরিতরকারি কেনার জন্য। তখন একটাকা ও পাঁচসিকা দিয়ে মাছ কেনা যেত, তরিতরকারি তো খুবই সস্তা ও তরতাজা। আমি কলেজের ছাত্র, ততদিনে গুহ পরিবারের সদস্য হয়ে গেছি। বাজারে ঢোকার সময় হয়ত গেইটে একটু ভীড় ছিল, বাজার করার টাকাটা চুরি হয়ে যায়। মাছের বাজারে গিয়ে মাছ কিনতে গিয়ে টের পেলাম। এখন উপায়? টাকা যে চুরি হয়েছে, বাসায় বিশ্বাস করবে কিনা, বাজার করে না নিলে চলবে কী করে। কান্না পাওয়া অবস্থা। তখন মাছের বাজার ছিল ঘরের মধ্যে। পূর্বাংশে পান-সুপারির দোকান। আমার গ্রামের এলাকার উপেন্দ্র চন্দ্র দাস অনেক আগ থেকেই পান বিক্রি করে। তার কাছ থেকে টাকা ধার করতে যাই। টাকা চুরির কথা জানিয়ে আড়াই টাকা চাইতেই তিনি রেগে গেলেন। তিনি কথা বলতে তুতলান। আমি তো নিরুপায়। দোকানের গদি থেকে লাফ দিয়ে উঠে বললেন-‘দাঁড়াও।’ বলেই কোথায় গেলেন, কিছুক্ষণ পর এসে আমার হাতে দুই টাকা চার আনা দিয়ে বললেন-‘চার আনা খরচ করে ফেলেছে। এই নাও তোমার টাকা।’ আমি নির্বাক, চেয়ে আছি। বলছেন-‘দেখছ কি? যারা নিয়েছে, আমি তাদের চিনি। বাজারে আসলে টাকা পয়সা সামলিয়ে রাখবে।’ তাও কী সম্ভব। এই নিয়ে অনেক ঘটনার কথা শুনেছি। ট্রেনে নাকি পকেটমাররা যাত্রীদের কাছে টাকা পয়সা আছে জানতে পারলে তার নির্ধারিত এলাকার মধ্যে কাজ করতে না পারলে পরবর্তী দলের কাছে যাত্রীকে বিক্রি করে দিত।
    ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে যেমন এরূপ শ্রেণির লোকদের আনাগোনা ছিল, আবার ফূর্তির জন্য বেশ্যালয়েরও ব্যবস্থা থাকত। সেজন্যই হয়ত বা কুমিল্লার একমাত্র বেশ্যালয়টি রাজগঞ্জের পূর্বাংশে চকবাজারের নিকটবর্তী ছিল এবং মনোরঞ্জনের অভিপ্রায়ে সিনেমা দেখার জন্য ‘রূপালী’ সিনেমা হলটি স্থাপিত হয়েছিল। হলটি এখনও আছে। ঐ হলে যারা সিনেমা দেখত বা ঐ হলে যেসকল সিনেমা দেখানো হতো, তা পর্ণোগ্রাফি ধাঁচের, অথবা ইংরেজি সিনেমা।
    কোনো কোনো বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত থাকত ম্যানেজার, তখন তাদের বলা হতো ‘সরকার’। কাজের চাপে অনেকসময় সাপ্তাহিক ছুটিতে সরকার ব্যক্তিটি বাড়ি যেতে পারতেন না। এরূপ ক্ষেত্রে তখন একটি গল্প শুনেছিলাম। সরকার ব্যক্তিটি দোকানের আয়-ব্যয়ের হিসাব লিখতেন। দৈনিক কতটাকা আয় হলো, কতটাকা ব্যয় হলো ইত্যাদি লেখার পর মালিক সন্ধ্যায় খাতাটি পরীক্ষা করতে বসতেন। কাঁসাড়িপট্টিতে বিখ্যাত রক্ষিতের ছাতার দোকান, এ দোকানের সরকার ব্যক্তিটি ব্যয়ের ঘরে লিখেছে-‘চোট খরচ দুই টাকা’। মালিক জানতে চাইল, এটা কি? সরকার ব্যক্তিটি লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে। ধমক দেয়ার পর বলছে-‘গত সপ্তাহে তো বাড়ি যেতে পারিনি, তাই পাড়ায় গিয়েছিলাম।’ মালিক গম্ভীর হলেন। কোনো উচ্চবাচ্য করলেন না।
এছাড়া বিনোদনের জন্য একমাত্র নাদের ট্রেডিং নামে বৈধ মদের দোকান আছে সিনেমাহল ও বেশ্যালয়ের কাছেই। অন্যদিকে তখন মদ খেতে লাইসেন্স লাগত। বৈধ বন্দুক কাছে রাখতে গেলে যেমন লাইসেন্স দরকার, মদ খাওয়ার জন্যও তা-ই। আবার মুচিপট্টি ও মেথরপট্টিতে চোলাই মদ তৈরি হতো নিজেদের ব্যবস্থাপনায়। লাইসেন্স বিহীন এ চোলাই খাওয়া যেত। বন্দুকের দোকানটিও পানপট্টিতে থানার সামনে। মরহুম ফয়েজ বক্স তার মালিক ছিলেন। তামাকুপট্টিতে সুগদ্ধি নেশাযুক্ত তামাক পাওয়া যেত। সাথে কুমিল্লার বিখ্যাত হুক্কা। এই হুক্কার বৈশিষ্ট্য হলো তার কালো চকচকে রং। বংশানুক্রমে এই হুক্কার রং সংরক্ষিত ছিল। ছেলেরা এ রং তৈরি করতে পারত। মেয়েদের শিক্ষা দেওয়া হতো না। কারণ মেয়েরা বিয়ে পর অন্যত্র চলে যাবে, এ কারণে। সুগন্ধি তামাক বেশ্যালয়ে বাবু-সাহেবদের জন্য পরিবেশিত হতো। এখনকার মতো নানা ধরনের নেশা সামগ্রি ছিল না।
কী চমৎকার সম্মিলন- বিনোদনের জন্য সিনেমা হল (রূপালী), আমোদফূর্তির জন্য মদ (নাদের ট্রেডিং) এবং মনোরঞ্জনের জন্য বেশ্যালয়-প্রায় একজায়গাতেই কুমিল্লা শহরের পূর্বাংশে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংলগ্ন ছিল। এ এক ধরনের চমৎকার মেলবন্ধন বলা যেতে পারে। এখন বেশ্যালয়টি ছাড়া অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান আছে।
    উপর্যুক্ত এসব বিষয়গুলো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কীনা জানি না। কিন্তু আমার শহর ‘কুমিল্লা’র ইতিহাসে তা ছিল এবং আছে। পুরাতন শহরে একই নামে কতগুলো পাড়া বা এলাকা থাকে- যেমন চকবাজার, লামাপাড়া, মৌলভীপাড়া, মুগলটুলি ইত্যাদি। এখানকার অধিবাসীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অনেককিছুই মিল পাওয়া যায়। আবার ব্যতিক্রমও আছে। কুমিল্লা মৌলভীপাড়ার জানুমিঞা চৌধুরীসহ হাতে গুনা ২/৩টি পরিবার ভিন্ন বাকী যারা প্রতিবেশী, তাদের মধ্যে কোনো অবস্থায়ই সংগতি খুঁজে পাইনি, এখনও নয়।
    চকবাজার এলাকায় তেরিপট্টি হলো কুমিল্লা জেলার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ভা-ার। আগে সাহা সম্প্রদায়ই একচেটিয়া ব্যবসায়ী ছিল। মোদক বা কুড়ি সম্প্রদায়েরা মুড়ি-চিড়া-বাতাসা-নকুলদানা-বুট-বাদাম-ডালের বড়ি ইত্যাদি বিক্রি করত। তারা পুরাতন কাগজ-বই ইত্যাদি ক্রয় করত। তারা ধনী ছিল না, কর্মজীবী ছিল। তাদের আস্তানা ছিল নানুয়া দিঘির পূর্বপাড়ের ভেতরে লামাপাড়ায়, তাদের পাশে একটি খ্রিস্টানপাড়া ছিল। এ খ্রিস্টানরা ছিল দেশীয় ধর্মান্তরিত, মূল সম্প্রদায় কি ছিল, তা জানা নেই। দিগম্বরীতলা অঞ্চলে কয়েকটি সম্ভ্রান্ত পরিবার বাস করতেন-নাহাবাড়ি, চক্ষুডাক্তার পবিত্র রায়ের বাড়ি, সাহা মেডিকেল হলের মালিকদের বাসা, নিবারণ গাঙ্গুলির বাড়ি। এককালে কবি বুদ্ধদেব বসুর মায়ের বাবা থাকতেন এ পাড়ায়, সেজন্য তাঁর ছোটবেলা কেটেছে এখানে। এছাড়া নানুয়াদিঘির চার পাড়ে সম্ভ্রান্ত হিন্দু-মুসলিম পরিবার বাস করতেন, শৈলরানী বালিকা বিদ্যালয়টিও পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত। শৈলরানী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন ভিক্টোরিয়া কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক পি,কে,রায় (প্রফুল্ল কুমার রায়)-এর সহধর্মিণী শ্রীযুক্তা সুচন্দ্রিমা রায়। তাঁর শারীরিক গঠন ছিল বৃহতাকার। এজন্য তাঁকে ‘প্রকা- দিদিমণি’ বলে অনেকে সম্বোধন করতেন। তবে সামনাসামনি নয়। তাঁর তুলনায় পি,কে,রায় স্যার ছিলেন বেঁটে ছোটখাট সুন্দর চেহারার ধুতি-পাঞ্জাবী পরা আকর্ষণীয় পুরুষ। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে সামঞ্জস্য নয় বলে অনেক কল্পকাহিনীও প্রচারিত ছিল। তাঁদের কন্যা জয়তি রায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা, ছেলে অরুণকুমার রায় আমাদের সহপাঠী, অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল।
    আমার শহর ‘কুমিল্লা’য় প্রতি বছর বর্ষাকালে এক বিপদের ঝুঁকি নিয়ে সময় অতিবাহিত করতে হতো। শহরের উত্তরাংশ দিয়ে গোমতী নদী প্রবাহিত। সারা বছর শান্ত, সমাহিত। কিন্তু বর্ষাকালে উপরে ত্রিপুরা রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে সেই জলধারা গোমতী দিয়ে যখন নেমে আসত, তার ভয়ংকর রূপ ছিল শহরবাসীর জন্য আতংকের। যদিও সুউচ্চ পাড় নির্মাণ করা আছে, কিন্তু প্রায় বছর এ পাড় ভাঙবে ভাঙবে অবস্থা, যদি ভাঙে, তবে শহরটি ধুয়ে মুছে ভেসে যাবে নিশ্চিত। প্রতি বছর বর্ষাকালে অনেকদিন শহরবাসী অনিদ্রা ও উৎকণ্ঠায় কাটাতে হতো। পুলিশ নদীর পাড় পাহারা দিত। যখনই শোনা যেত দেবিদ্বার বা অন্য কোথায় পাড় ভেঙেছে, তাহলেই নিস্তার বা নিরাপদ। গোমতী ছিল একসময় শহরবাসীর জন্য বিশেষত বর্ষাকালে দুঃখ ও আতংকের। পরে শহরকে রক্ষা করার জন্য নদীর গতিপথ উত্তর দিকে গভীর খাল কেটে বিকল্প পথ সৃষ্টি করা হয়, আমার শহর ‘কুমিল্লা’ এ আতংক থেকে রেহাই পায়।
    কুমিল্লা পূর্বাংশে ঐতিহাসিক দেবালয় হলো জগন্নাথ বাড়ি। এখানে আছে ‘সতররতœ’ স্থাপনা, আছে পুণ্যতোয়া গঙ্গাজলধারী পুকুর, জগন্নাথদেবের মন্দির। এই মন্দির ও সতররতœ প্রতিষ্ঠা করেন ত্রিপুরার রাজা। এজন্য প্রচুর সম্পত্তি দেবতার নামে দান করা হয়। প্রতিবছর রথযাত্রা উপলক্ষে প্রচুর লোকের সমাগম হতো, রথযাত্রায় যে রথ নির্মাণ হতো, তা ছিল খুবই বৃহৎ, হাতি দিয়ে টেনে আনা হতো মামাবাড়ি গোচ-িকা বাড়ি। সাতদিন উৎসব হতো এবং রথ চলাচলের জন্য প্রশস্ত রাস্তা তৈরি থাকত। সবই জগন্নাথদেবকে উৎসর্গীকৃত জমি। এখন জগন্নাথবাড়ি আছে, জমিগুলো বেহাত হয়ে গেছে। এটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। বিষয়টি উল্লেখ করলাম এই জন্য যে আমার শহর ‘কুমিল্লা’য় তখন রথযাত্রা উপলক্ষে দেশ বিদেশের অনেক লোক আসতেন, পুকুরে ¯œান করে পুণ্য অর্জন করতেন। কথিত আছে, রাজা যখন পুকুরটি খনন করেন, তখন প্রতিষ্ঠা করার সময় গঙ্গানদী থেকে একহাজার এক কলসী গঙ্গাজল এনে এ পুকুরে ফেলেন। এজন্য হিন্দুসম্পদ্রায়ের অনেকে গঙ্গা¯œানের পুণ্য অর্জন বিশ্বাসে এ পুকুরে নিত্য ¯œান করে থাকেন, এখনও।
    সুতরাং আমার শহর ‘কুমিল্লা’র পূর্বাংশই হলো মূল শহর, পশ্চিমাংশ পরে সম্প্রসারিত। এ অংশ নিয়ে গবেষণা করা যায়। এই পূর্বাংশ অতিক্রম করেই ত্রিপুরা সীমান্তে যাতায়াত করতে হয়। তখন নয়, দেশবিভাগের পর চোরাচালান, মাদকপাচার, অবৈধ ব্যবসা ইত্যাদি শুরু হয়ে যায়। বাংলাদেশ হওয়ার পর এ প্রবণতা আরও বেড়েছে। আবার এও তো ঠিক যে, ত্রিপুরারাজ্যের কাঁঠাল-লিচু-কলা-আনারস-বেল-জাম্বুরা ইত্যাদি ফলফলাদি অঢেল আসার কারণে আমরা ভোগ করতে পারছি। তবে ভালো দিক সীমিত, মন্দ ব্যাপারটি ব্যাপক ও মারাত্মক, দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
(ক্রমশ)


লেখক
০১৭১১-৩৪১৭৩৫












সর্বশেষ সংবাদ
চৌদ্দগ্রামে সুস্থ পাঠক সুস্থ সমাজ শীর্ষক হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
দেবীদ্বারে সড়ক দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
অভিশপ্ত সেই রাত ভুলে যেতে চান স্মিথ
পাশের হার-জিপিএ ৫ বেড়েছে কুমিল্লায়
জিপিএ-৫ এ কুমিল্লা বোর্ডের সেরা ২০ স্কুল
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
জিপিএ-৫ এ কুমিল্লা বোর্ডের সেরা ২০ স্কুল
ব্রাহ্মণপাড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কাউকে হয়রানী করলে ছাড় পাবেন না: এমপি বাহার
সপ্তম ধাপে দেবিদ্বার-বুড়িচংয়ে ইউপি নির্বাচন
পাশের হার-জিপিএ ৫ বেড়েছে কুমিল্লায়
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২