ভুটানে
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। শেখ মোরসালিনের একমাত্র
গোলে তারা স্বাগতিকদের হারিয়েছে। ম্যাচটি জিতলেও ভালো মানের ফুটবল উপহার
দিতে পারেনি বাংলাদেশ।
ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোলটিও আসে ভাগ্যক্রমে।
ভুটান গোলরক্ষকের হাত ফসকে যাওয়ায় বল পান মোরসালিন। সেখান থেকে তিনি বল
জালে পাঠান। তাই ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ভাগ্যের বিষয়টি এনেছেন কোচ
হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, ‘আমরা খানিকটা সৌভাগ্যবান গোলের ক্ষেত্রে। ২০-২৫
মিনিট পর্যন্ত আমরা স্ট্রাগল করছিলাম। এরপরও ম্যাচ জেতায় খুশি।’
ভুটানে
দুই ম্যাচই জেতার আশা ব্যক্ত করেছিলেন বাংলাদেশের এই প্রধান কোচ। আজ
(বৃহস্পতিবার) প্রথম ম্যাচে জয়ের পর এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জয় অবশ্যই
গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর বাইরেও কিছু বিষয় আছে। খেলোয়াড়রা তিন মাস পর মাঠে
ফিরেছে। তাদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া প্রয়োজন।’
তরুণ ফুটবলার শেখ
মোরসালিন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে তিনি গোল করেই যাচ্ছেন। আজকের
ম্যাচেও তার গোলে বাংলাদেশ জিতল। দলকে জেতাতে পেরে বেশ খুশি ফরিদপুরের এই
ফুটবলার, ‘খুব খুশি লাগছে, গোল করেছি। দলের সবাইকে এটি উৎসর্গ করতে চাই।
রাকিব ভাই বল দিয়েছিলেন, যদিও প্রথমে আমি পাইনি পরবর্তীতে গোলরক্ষক থেকে
পেয়েছি।’ বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলেও খেলা ছিল অগোছালো। দীর্ঘদিন পর খেলতে নামার
পাশাপাশি থিম্পুর উচ্চতা ও টার্ফ বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রতিবন্ধকতা
হিসেবে ফুটে উঠেছে। এরপরও ম্যাচ জেতানো মোরসালিনের দাবি, ‘ভালো খেলেছি। কোচ
যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারছি। এই কারণে ম্যাচ জিততে
পেরেছি।’
দুই ম্যাচ সিরিজের পরবর্তী ম্যাচ ৮ সেপ্টেম্বর। ওই ম্যাচও
জয়ের লক্ষ্য জানালেন মোরসালিন, ‘অবশ্যই আমাদের টার্গেট ছিল ম্যাচ বাই ম্যাচ
জেতা। দ্বিতীয় ম্যাচেও তাই থাকবে। প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করতে পারলে ভালো
ফলাফলই হবে।’ দ্বিতীয় ম্যাচে পরিবর্তনের বিষয়টি ইতোমধ্যে ভাবছেন কোচ,
‘রাকিব ইনজুরিতে, আমি নিশ্চিত নই সে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ফিট হবে কিনা। না
হলে আমাদের পরিবর্তনের মধ্যে যেতে হবে।’