শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৩০ ভাদ্র ১৪৩১
শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষাচিন্তা
জুলফিকার নিউটন
প্রকাশ: বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:২২ এএম |

 শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষাচিন্তা

১০৪
মানুষের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির একটা বৈশিষ্ট্য এই, কাছের জিনিসকে মনে হয় বড়, দূরেরটা ছোট; কাছের জিনিস স্পষ্ট, দূরেরটা অস্পষ্ট। সংসারী মানুষ যাকে বলে বাস্তববুদ্ধি, তার সঙ্গে যুক্তিনিষ্ঠ আদর্শবোধের পার্থক্য অনেকটা
এই রকমেরই। বাস্তববুদ্ধি উপস্থিত প্রয়োজনটাকে বড় করে দেখে, আদর্শবোধের বিচারে কিন্তু দূরের প্রয়োজনটাও গুরুত্ব পায়। আদর্শবোধ নিশ্চিতভাবে বাস্তববিরোধী নয়। বাস্তবতার পরিধির ভিতর কোন জিনিস কতটা স্থান পাবার অধিকারী- এ-নিয়ে বিচারে পার্থক্য ঘটে যুক্তি ও অনুভবের বিভিন্ন স্তরে।
সহানুভূতি ও দূরদৃষ্টির মিশ্রণে গঠিত হয় আদর্শবোধ। বাস্তবের এটা এক বিশেষ স্তর। সহানুভূতি পরকেও আপন করে নেয়; দূরদৃষ্টি কল্পনার সেই শক্তি, যার বলে নিকট ও দূরের ভিতর চেতনার আলো স্বচ্ছন্দে বিচরণ করে। চেতনার সম্প্রসারণে সহায়তা করা শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য। মনে রাখতে হবে, উপস্থিত প্রয়োজনকে অবহেলা করা ভুল। কিন্তু অংশ যখনসমগ্রকে আচ্ছন্ন করে দাঁড়ায়, বর্তমানের সঙ্গে অতিসংলগ্নতায় যখন আমরা ভবিষ্যৎকে অগ্রাহ্য করি, তখন আমাদের সত্যের উপলব্ধি নিতান্তই অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে। এই বোধ যার ভিতর জাগ্রত হয়নি তাঁকে সুশিক্ষিত অথবা সুবিবেচক বলে মান্য করা যায় না। অর্থাৎ, বিচারে ত্রুটি থাকতে পারে দুই প্রান্তেই, অংশ নিয়ে মত্ততার ফলে পূর্ণেরপ্রতি উপেক্ষায়, পূর্ণের পুজোর ছলে অংশের অবহেলায়। কথাটাকে এরপর তত্ত্বের শিখর থেকে উদাহরণের সমতলভূমিতে নামিয়ে আনা যাক।
মানুষের ভিতর আছে যে মহত্ব পূর্ণ মনুষ্যত্বের যেটা অন্য নাম তাকে বিকশিত করাই শিক্ষার উদ্দেশ্য, এই রকমের একটা কথা আমরা শুনেছি মহাজনদের মুখ থেকে। আজকের দিনে অনেকে অধৈর্য বোধ করবেন এই জাতীয় বাক্যে। তারা বলবেন, আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে; বেকার যুবক-যুবতীদের কথা ভাবুন; ছাত্রছাত্রীদের সেই শিক্ষা দেওয়া হোক, যাতে তারা জীবিকার সুযোগ লাভ করে। কথাটা যুক্তিসংগত, অন্তত আপাতদৃষ্টিতে। তবে এই সমালোচনায় সমস্যাটাকে সমগ্রভাবে দেখা হয়নি। বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকেই সুবিবেচক কিছু শিক্ষাবিদ আপত্তি তুলতে পারেন। আর সেই আপত্তিরধাক্কায় ধাক্কায় বাস্তবের সীমানাটাই ধীরে ধীরে সরে সরে যেতে পারে। কর্মসংস্থানের অভাব যে আমাদের এক নিদারুণ সমস্যা, এ-কথা মানতেই হবে। কিন্তু শিক্ষাকে চাকরিমুখী করলেই দেশে চাকরির সংখ্যা বাড়বে, বেকারের সংখ্যা কমবে, এই চিন্তায় দূরদৃষ্টির অভাব আছে। এরপর প্রশ্ন, সমস্যার মূল কোথায়? শিক্ষার সংস্কার বলতে কী বুঝতে হবে?
মূলের অনুসন্ধানে গবেষকেরা ফিরে যান ব্রিটিশ আমলের শিক্ষাব্যবস্থার পর্যালোচনায়। বিদেশী শাসকেরা চেয়েছিলেন শিক্ষার এমন এক ব্যবস্থা যাতে তৈরি হবে শাসনযন্ত্রের অধস্তন পদে কাজ করবার মতো দেশীয় কর্মচারী। সমালোচকদের বক্র ভাষায় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে বলা হয়েছে কেরানি তৈরি করবার কারখানা। এইভাবে সৃষ্টি হয়েছে এক মধ্যবিত্ত মানুষ, কলম-পেষাই যাদের পেশা। এই ব্যবস্থার কয়েকটি ত্রুটির উল্লেখ করা যেতে পারে সহজেই। কায়িক শ্রম আর কলম পেষার ভিতর একটা ভেদ স্থাপিত হয়ে গেছে মধ্যবিত্তের চেতনার গভীরে। জাতিভেদের সঙ্গে মিলেমিশে এইভাবে আমরা পেয়েছি এক মিথ্যা মর্যাদাবোধের সামাজিক বিভাজন। এখানে মর্যাদার ব্যাপারটা একই সঙ্গে দুঃখজনক ও হাস্যকর একটা বিশেষ কারণে। কেরানি যেহেতু অধস্তন কর্মচারী, অতএব তার পেশাগত প্রয়োজন। আজ্ঞাবহতা, স্বাধীন চিন্তা নয়। অনিবার্যভাবে আমাদের বিদ্যাপ্রতিষ্ঠানে উৎসাহ পায়নি স্বাধীন চিন্তার সাধনা, নির্দেশ-অনুযায়ী কাজ করা ও ফাইল সাজানোর অভ্যাসই প্রধান হয়ে উঠেছে। এই ত্রুটি থেকে গেছে আমাদের উচ্চশিক্ষাতেও। খেয়াল করতে হবে, বশংবদতা আর সহযোগিতা এক বস্তু নয়। মধ্যবিত্তের ভিতর সহযোগিতা দুর্বল, রেষারেষি প্রবল।
ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থার পত্তনের পর অনেক দশক কেটে গেছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থার তেমন কোনো মৌল পরিবর্তন ঘটেনি। শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ, যদিও সমাজের তলার দিকে শিক্ষার যথেষ্ট প্রসার ঘটেনি। আমি বিশেষভাবে বাংলাদেশের কথা বলছি। শিক্ষিতের সংখ্যা যত বেড়েছে সরকারি প্রশাসনযন্ত্রে কাজের সুযোগ তত বাড়েনি, বাড়া সম্ভব নয়। বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী ও আধিকারিকের পদের প্রসার ঘটেছে। শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা সেখানে কাজ খুঁজছে। তবু শিক্ষিতের সংখ্যার তুলনায় কাজের সুযোগ কম। আমাদের শিক্ষিত যুবকযুবতীরা চাকরি চায় নাগরিক পরিবেশে। গ্রামের ছেলেও শিক্ষিত হলে শহরে চলে আসে চাকরির সন্ধানে। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা গ্রামোন্নয়নের পক্ষে অনুপযুক্ত। গ্রামােন্নয়ন ছাড়া এদেশের আর্থসামাজিক সমস্যার কিন্তু সমাধান সম্ভব নয়। শহরে চাকরি অপ্রচুর, প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র। রেষারেষি বাড়ছে, বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ-দুর্নীতি, ঘুস দিয়ে ও দলীয় সম্পর্কের জোরে চাকরি জোগাড় করবার প্রবণতা। সুযোগের অপ্রাচুর্যের সঙ্গে এইভাবে যোগ হয় যোগ্যতমদের কাজে নিযুক্ত হবার সম্ভাবনার ক্ষয়। দুর্বল হয় সমাজস্বাস্থ্যের বনিয়াদ।
ইদানীং বেড়ে চলেছে ছাত্রছাত্রীদের ওপর পাঠ্যবস্তুর বোঝা, স্থুপীকৃত সংবাদের ভার। প্রতিদ্বন্দ্বিতার চিন্তায় ভীত অভিভাবকেরা নির্দয়ভাবে ঠেলে চলেন সন্তানদের, প্রথম কয়েকজনের ভিতর তাদের স্থান করে নিতেই হবে। অঙ্কের সাধারণ নিয়মেই এটা এক অসম্ভব প্রত্যাশা। অধিকাংশের স্থান হয় না প্রথম সারিতে। এইভাবে যোগ হয় কিশোরমনে আত্মগ্লানির বোঝা অন্যান্য দুর্ভাগ্যের সঙ্গে। শিক্ষার এই অবস্থায় শিক্ষকদের পক্ষেও আত্মগৌরব রক্ষা করা কঠিন হয়ে ওঠে। সারাদেশে জীবিকার সুযোগের ওপর শিক্ষকদের প্রভাব আজকের অবস্থায় অতি সামান্যই। সেই সুযোগ নির্ভর করে শিক্ষাব্রতীদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে অনেকটাই অর্থনীতি ও রাজনীতিসহ স্বদেশের ও বিশ্বের নানা পরিস্থিতির ওপর। তবু শিক্ষকের কাজ তুচ্ছ নয়। তুচ্ছ নয় যদি শিক্ষক স্বধর্মে স্থিত থেকে মানুষ তৈরি করবার কাজেই ব্রতী হন এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখে শিক্ষাব্যবস্থারপরিবর্তন-সাধনে উদ্যোগী হন। শিক্ষকেরা স্থিতাবস্থার প্রহরী হতে পারেন, অথবা নতুন ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। ঐতিহাসিক এক ভূমিকা নির্বাচনের দায়িত্ব আজকের শিক্ষকের।
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার যে-ত্রুটিগুলির কথা আগে বলা হয়েছে সেইসবের প্রতি আরেকবার দ্রুত দৃষ্টিপাত করা যাক। আমরা লক্ষ করেছি যে, এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় স্বাধীন চিন্তাকে উৎসাহ দেওয়া হয় না; কায়িক শ্রম ও বুদ্ধিবৃত্তির ভিতর রক্ষিত আছে এক কঠিন ব্যবধান; প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, আর সহযোগিতামূলক প্রকল্প গঠনের চিন্তা থেকে গেছে অবহেলিত। এইসব ত্রুটির সযত্নে সংশোধন প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের মনুষ্যত্ব গঠনের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার ও শিক্ষণপদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন। তাছাড়া প্রচলিত শিক্ষায়গ্রামের উন্নয়নের প্রতি সযত্ন মনোযোগের অভাব উল্লেখযোগ্য। শিক্ষকেরা কি এই অবস্থায় নতুন পথে উদ্যোগী হতে প্রস্তুত? নাকি সামাজিক পরিবেশের ওপর সব দোষ চাপিয়ে দিয়ে তারা নিরুদ্যম থাকবেন?
ব্যক্তিস্বার্থের সঙ্গে সমাজস্বার্থের বিরোধই বাস্তব, এই অসূয়ক প্রত্যয়ের ভিত্তিতে কোনো সুস্থ সমাজ দাড়ায় না। দুয়ের ভিতর সামঞ্জস্য সম্ভব, বাস্তবেরই সেটা অন্য এক স্তর, এই সদর্থক প্রত্যয়কে আশ্রয় করেই মানুষ সুনীতিবোধের সন্ধান করেছে। একই কথা প্রযোজ্য শিক্ষার ক্ষেত্রেও। জীবিকার অনুসন্ধানের সঙ্গে মনুষ্যত্বের গঠনের অনিবার্য বিরোধ নেই, দুয়ের ভিতর সামঞ্জস্য স্থাপন সম্ভব, সুস্থ শিক্ষাব্যবস্থার মূলে এই প্রত্যয় থাকা প্রয়োজন। এই বিশ্বাসকেই সর্বযুগের কিছু শ্রেষ্ঠ শিক্ষাচিন্তক তাঁদের ভাবনার ভিত্তিতে স্থান দিয়েছেন। আশাবাদী ও সমন্বয়সন্ধানী এই দূরদৃষ্টিকে ত্যাগ করে কোনো হিতকর চিন্তা সমাজে দাঁড়ায়। এরই পরিপূরক অন্য একটি কথা এরপর যোগ করা দরকার।
জীবিকা ও কর্মসংস্থানের প্রশ্নকে কেন্দ্রে রেখে কথা শুরু করেছিলাম। জীবিকার গুরুত্ব প্রশ্নাতীত, তবু ওই একটি বিন্দুতে শিক্ষাচিন্তাকে আবদ্ধ রাখা নিশ্চিতভাবেই ভুল। আরো দূরের একটি লক্ষ্যকে দৃষ্টির ভিতর স্থাপন-করলে শিক্ষাচিন্তা নিদারুণভাবে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যক্তি ও সমাজের বৃহত্তর কল্যাণ। সেই কল্যাণচিন্তাকে আশ্রয় করে জীবিকাসহ আরো নানা প্রশ্ন মনোযোগ দাবি করে। দায়িত্বশীল শিক্ষকের চিন্তা ও কর্মের পরিধির ভিতর তাদেরও স্থান হওয়া আবশ্যক। সমাজের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত করে বিষয়টা বুঝে নিতে হবে। প্রয়োজন চেতনার পরিবর্তন। কিছু উদাহরণ দিয়ে কথাটা সহজেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
হিটলারের জার্মানিতে কর্মসংস্থানের অভাব প্রধান সমস্যা ছিল না। তবু গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মানুষ ওই অবস্থাকে সহনীয় বলে স্বীকার করবেন না। অশিক্ষার চেয়েও ভয়ংকর হচ্ছে কুশিক্ষা। শিক্ষাব্যবস্থায় যদি স্বাধীন চিন্তার জন্য স্থান রাখা কাম্য হয় তবে একইভাবে কিছু মৌল মানবাধিকারের মূল্য-বিষয়ে সচেতনতা জাগ্রত করা সুশিক্ষার অন্তর্গত বলে স্বীকার্য। সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত করে এই বিষয়টাবিবেচনা করা আবশ্যক।
নরনারীর সাম্যের প্রশ্ন কোনো এক যুগে শিক্ষাক্ষেত্রে স্থান পায়নি, আজ সেটা উপেক্ষণীয় নয়। ধর্মীয় মৌলবাদ যতই নানাস্থানে প্রবল হয়ে দেখা দিয়েছে ততই এই প্রশ্নটা হয়ে উঠেছে আরো বেশি জরুরি। নরনারীর আইনস্বীকৃত অধিকারও থেকে যাচ্ছে প্রকাশ্যে উপেক্ষিত। এ-ব্যাপারে কুসংস্কার থেকে মুক্ত গণশিক্ষার ব্যবস্থা রাখা বাঞ্ছনীয়। যদিও বিতর্কিত তবু আরো কিছু সূক্ষ্ম বিষয় নিয়ে যুক্তিনিষ্ঠ ও সশ্রদ্ধ আলোচনাকে যৌনশিক্ষার অন্তর্গত করবার আয়োজন বিবেচ্য। নরনারীর পারস্পরিক সম্পর্কে নিহিত থাকে একদিকে অতুলনীয় মাধুর্যের সম্ভাবনা, আবার অন্যদিকে বিধ্বংসী বিদ্বেষ ও নিদারুণ তিক্ততার গভীর আশঙ্কা, যার শুভাশুভ প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে সারা সমাজে। আর এই কারণেই বিষয়টাকে অন্ধকারের আবরণ থেকে মুক্ত করা আজ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
সমস্যার তালিকা সম্পূর্ণ করা যাবে না। ভোগবাদ, নেশাগ্রস্ততা, দুর্নীতি, দুবৃত্তায়ন, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ বিষক্রিয়ার মতো ছড়িয়ে পড়ছে সমাজদেহে ও চেতনায়। আরোগ্য আশা করা যাবে কোন পথে? বাজারের প্রসার আর রাষ্ট্রের শক্তিবৃদ্ধি, এই দিয়ে চিহ্নিত এ-যুগের বিশিষ্টপরিচয়। যেসব ব্যাধির ইঙ্গিত দেওয়া হলো এইমাত্র, সেইসব নিবারণের উপায় বাজারে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বরং ব্যাধির বীজই বাজারে খুঁজে পাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। আমরা এরপর প্রাণপণে প্রতিকার খুঁজি রাষ্ট্রের কাছে। সেখানেও আমাদের প্রত্যাশা পূর্ণ হয় না। রাষ্ট্র তো যন্ত্র মাত্র, এক হৃদয়হীন যন্ত্র। পুরনো বিপ্লবীরা সামাজিক সমস্যার সমাধান খুঁজেছেন ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনের পথে। প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন প্রয়োজন বটে, কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। রাষ্ট্রের পরিচালনায় এবং দলীয় নিয়ন্ত্রণাধীন কিছু বিদ্যালয় স্থাপন করলেই কাজ সম্পূর্ণ হবে না। রাজনীতি যথেষ্ট নয়। চেতনার পরিবর্তন সম্পূর্ণ হয় না কোনো যান্ত্রিক উপায়ে অথবা ফতোয়াবাজিতে। শিক্ষা নিয়ে গভীরতর চিন্তা ও উচ্চতর সংকল্প প্রয়োজন। এক নিঃশব্দ বিপ্লবের অন্য নাম হতে পারে শিক্ষা।













সর্বশেষ সংবাদ
দুবাইয়ের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন শাহীন
চান্দিনায় হামলার শিকার আহত যুবকের মৃত্যু
মহাসড়কের তীব্র যানজট; দুর্ভোগ
তদন্তে সম্পৃক্ততা না মিললে মামলা থেকে নাম বাদ পুলিশের নির্দেশনা
মনোহরগঞ্জে র‌্যাবের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছেন প্রফেসর মো: আবুল বাশার ভূঁঞা
কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক এমপি এমএ জাহেরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ
কুমিল্লায়-বেড়েছে চুরি ছিনতাই
কুমিল্লার ১২ শ কিলোমিটার সড়কে বন্যার ক্ষত
কুমিল্লায় ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলাকারী একজন গ্রেপ্তার
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২