ইনিংসের
প্রথম চার বলে তিনটি বাউন্ডারি হজম করা শরিফুল ইসলাম ঘুরে দাঁড়ালেন
দারুণভাবে। ওই ওভারেই তুলে নিলেন উইকেট। পরের তিন ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে
ধরলেন আরেকটি শিকার। কিন্তু তার সতীর্থদের নিষ্প্রভ দিনে গল মার্ভেলসের
বিপক্ষে পেরে উঠল না ক্যান্ডি ফ্যালকন্স।
ডাম্বুলায় লঙ্কা প্রিমিয়ার
লিগে রোববার ক্যান্ডির বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে গল। প্রতিপক্ষের ১৭৫ রান ১৭
বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় তারা।
ক্যান্ডির অন্য বোলারদের বিবর্ণতার
মাঝে উজ্জ্বল ছিলেন শরিফুল। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি। একটি
ছক্কার সঙ্গে হজম করেন চারটি চার। ১১টি বল দেন ডট।
শরিফুলের চেয়ে
ওভারপ্রতি কম রান দিতে পারেননি আর কেউ। ১ উইকেট নিতে ৪ ওভারে ৩৬ রান দেন
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। লাকসান সান্দাক্যান ৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ধরেন এক
শিকার। ৪২ রান দেওয়া দুশমন্থ চামিরা উইকেট পাননি।
রান তাড়ায় নামা গলের
ইনিংসের প্রথম ওভারেই শরিফুলের হাতে বল তুলে দেন হাসারাঙ্গা। টানা দুই চার
মেরে এই পেসারকে স্বাগত জানান নিরোশাল ডিকওয়েলা। এক বল পর মারেন আরেকটি।
পঞ্চম ডেলিভারি ডট দিয়ে ওভারের শেষ বলে ডিকওয়েলাকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল। তাকে
লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটের কানায় লেগে উপরে উঠে যাওয়া বল পয়েন্টে
মুঠোয় জয়ান আন্দ্রে ফ্লেচার।
তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে দারুণ শুরু করা
শরিফুল প্রথম পাঁচ বলে দেন কেবল এক রান। কিন্তু শেষ বলে তাকে এক্সট্রা
কাভারের ওপর দিয়ে ওড়ান অ্যালেক্স হেলস।
পাওয়ার প্লেতে ২ ওভারে ১৯ রান
দেওয়া শরিফুল ফের বোলিংয়ে আসেন দ্বাদশ ওভারে। ৫ রান দিয়ে নেন ভানুকা
রাজাপাকসার উইকেট। তৃতীয় বলে তার স্লোয়ারে বোল্ড হন লঙ্কান ব্যাটসম্যান।
সপ্তদশ ওভারে কোটার শেষ ওভারটি করতে এসে ৮ রান দেন শরিফুল। তৃতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে তাকে একটি চার মারেন সাহান আরাচিগে।
ফ্লেচারের
৫০ ও হাসারাঙ্গার অপরাজিত ৬৫ রানে লড়ার মতো পুঁজি গড়ে শরিফুলদের ক্যান্ডি।
কিন্তু টিম সাইফার্টের তা-বে হারের তেতো স্বাদ পায় তারা। ২ ছক্কা ও ১১
চারে ৪৯ বলে ৮২ রান করে গলকে জিতিয়ে ফেরেন নিউ জিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান।
চলতি এলপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচেও দুই উইকেট নেন শরিফুল। কলম্বো স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে সেদিন অবশ্য তিনি ছিলেন খরুচে, দেন ৪৩ রান।