দুবাইয়ের
ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্র্টে মাগরিব নামাজের পরপরই বিমান এমিরাটস থামে।
বিমান থেকে নেমে ইমিগ্রেশনে যাই। ইমিগ্রেশন পুলিশ ভিসা দেখে ছবি ও আঙুলের
ছাপ নিল। পাসপোর্টের নির্দিষ্ট পাতায় সিল দিয়ে দিল। পাসপোর্টও প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা দেখে ইমিগ্রেশন পুলিশ ফ্রি মোবাইল সিম দিয়ে দিলেন।
ইতিমধ্যে বিমানের বেল্টে মালামাল চলে এসেছে। মালামাল খুঁজে নিলাম।
নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য মালামাল স্ক্যান করা হল। বিশে^র তৃতীয় ব্যস্ততম
দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারর্পোট। ব্যস্ততম হলেও এয়ারপোর্টের সেবার মান
অনেক উন্নত। এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে বের হয়ে প্রাইভেট কার ভাড়া করে আমাদের
পূর্বের বুকিং দেওয়া দুবাই শহরের পনিক্স হোটেলে উদ্দেশ্যে গাড়ি ছাড়ে। গাড়ির
ড্রাইভার ছিল সুদানের নাগরিক। সুদানে নাগরিক বেশির ভাগ কালো লম্বা ও মোটা
থাকে। আমাদের ড্রাইভার এ রকমই ছিল। আমার সফরসঙ্গী ছিলেন যাঁর প্রেরণায়
দুবাই যাওয়া আমার স্ত্রী মোসা. রাবিয়া খাতুন। চল্লিশ মিনিট যাত্রাপথ পঞ্চাশ
মিনিটে পনিক্স হোটেলের সামনে গাড়ি থামে। হোটেলে প্রবেশ করে অভ্যার্থনায়
বাংলাদেশের নাগরিক মিজানের সাথে পরিচয় হয়। সে জানায় তার বাড়ি বাংলাদেশের
সিলেট জেলায়। পনিক্স হোটেলের মালিকও সিলেটের স্থায়ী বাসিন্দা মাঝে মাঝে
দুবাই আসেন। এখন পাসপোর্ট জমা দিয়ে আগে হোটেলে উঠে রেস্ট নেন।
সন্ধ্যা
সাতটায় চট্টগ্রামের বাসিন্দা বন্ধু আরিফুর রহমান তনিম চৌধুরীর আমন্ত্রেনে
দুবাইয়ের আল জুবায়েরের বাগান বাড়িতে চট্টগ্রাম বাসির মেজবান অনুষ্ঠানে
অংশগ্রহণ করি। সেখানে গিয়ে মনে হয়েছে যেন এক টুকরো বাংলাদেশ। দুবাইয়ের
ব্যবসায়ী সিআইপি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ সারজার শাখার সভাপতি আহম্মদ আলী
জাহাঙ্গীর আলমের আয়োজনে মেজবান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রামে বাড়ি যাঁরা দুবাই
থাকেন এমন পাঁচশতাধিক জনের মিলনমেলা আয়োজন ছিল।
সেখানে পরিচয় হয়
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সারজা শাখার সাধারণ সম্পাদক এম তাহের ভূইয়ার সাথে।
পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাহের ভাই জানান কুমিল্লার অনেক রাজনৈতিক নেতাও
ব্যবসায়িদের সাথে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। মেজবানি খাবার শেষে তাহের ভাই, তনিম
ভাইও মোর্শেদ আলম ভাইসহ আমাদেরকে নিয়ে রওনা হলেন পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর ও
ব্যয়বহুল শপিংমলে দিকে। দুবাইমলে প্রবেশ করে চোখে পড়বে অবাক করার মত
সৌন্দর্য। এক কথায় অসাধারণ, চোখ ধাঁধানো সব দোকান এবং ভেতরের পরিবেশ। ঘুরতে
ঘুরতে বার বার আমি থেমে গেছি আর ভাবতে ছিলাম এত সুন্দন ভবনও দোকান কিভাবে
বানানো হয়েছে, কত দিন সময় লেগেছে এই জিনিসগুলো বানাতে।
দুবাইমলের
যাওয়ার পথে চোখ ধাঁধানো রঙিন আলোকরশ্মি, আকাশচুম্বি অট্রালিকা চেখে পড়বে। এ
ছাড়াও দুবাইতে আধুনিক আবাসিক হোটেল, বিলাসবহুল জীবন-যাপন, কৃত্রিম
দ্বীপপুঞ্জসহ নানা কারণে আমার মনে হয়েছে দুবাই ভ্রমণ-প্রিয়দের পছন্দের
শীর্ষে। অনেক সুন্দরও আকর্ষণীয় শহর দুবাই। দুবাই কিন্তু আরব আমিরাতের
রাজধানীও নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী হচ্ছে আবুধাবি। দুবাই বিশ্বের
সেরা পাঁচ পর্যটন শহরের একটি। দুবাইয়ের রাস্তাঘাট প্রসস্থ, পরিচ্ছন্ন এবং
দুপাশে ফুলের বাগান অনেক রাস্তায়। মোর্শেদ আলম ভাই থেকে জানা যায় আরব
সাগরের গা ঘেঁষা এই শহরের একটি তথ্য আমাকে চমকে দিয়েছে। সেটি হচ্ছে- দুবাই
শহরে কোন অপরাধ সংঘটিত হয় না বললেই চলে। জিরো ক্রাইম সিটি হিসেবে দুবাইর
রয়েছে দারুন সুনাম। এটিকে পৃথিবীর অন্যতম নিরাপদ শহর মনে করা হয়।
রাত
সাড়ে দশটায় আমরা পৌছি বুর্জ খলিফা। যা দুবাইর সবচেয়ে উঁচু ভবন হল বুর্জ
খলিফা। এটির উচ্চতায় ২,৭১৭ ফুট লম্বা। এখানেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতম
মসজিদ, রেস্টুরেন্ট, হোটেল-মোটেল ও নাইট ক্লাবসহ নানান ডিপার্টমেন্ট। বুর্জ
খলিার পাশেই দুবাইমল অবস্থিত। দুবাই মল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শপিং
সেন্টার, এই মল কেনাকাটার জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের সব নামি-দামি বড়
ব্রেন্ডের দোকান, দুবাই একুয়ারিয়াম, আন্ডার ওয়াটার জু ও থিম পার্ক সহ
বিনোদনের নানা আয়োজন রয়েছে দুবাই মলে। বিনোদনের জন্য রয়েছে নানা আয়োজন।
বিশ্বখ্যাত ডিজাইনারদের নানা কালেকশন রয়েছে এখানে, পন্যের মান ভাল তবে দামও
অনেক। এদের মধ্যে আছে ভার্সেস, বারবেরির মতো স্বনামধন্য সকল ব্রান্ড।
দুবাই মলে পরিবার নিয়ে ঘুরার জন্য আছে দ্যা দুবাই একুয়ারিয়াম ও আন্ডার
ওয়াটার জু, বাচ্চাদের পছন্দের কিন্ডাজিয়া সহ দ্যা দুবাই ফাইন্টেন, আইস
রিঙ্ক সহ আরও অনেক কিছু। দুবাই একুয়ারিয়াম এন্ড আন্ডার ওয়াটার দুবাই মলের
নিচ তালায় অবস্থিত জানা যায় এই দুবাই একুয়ারিয়ামটি প্রায় ৫১ মিটার লম্বা,
বিশ মিটার গভীর ও এগার মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট।
এই একুয়ারিয়ামে প্রায় তিন
হাজার প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী রয়েছে, এদের মধ্যে প্রায় ৪০০ এর বেশী
শার্ক ও রেইস আছে। তবে টিকেট কেটে ৪৮ মিটার লম্বা টানেলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ
করলে এই একুয়ারিয়ামকে ভিন্ন ভাবে দেখার সুযোগ রয়েছে। যেখানে খুব কাছ থেকে
শার্ক, রেইস, অক্টোপাস সহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী কাঁচের প্রাচীরের খুবই
কাছ থেকে দেখা যায়। আর যদি আপনি খুব সাহসী হন তাহলে দশ লিটার পানির
ট্যাঙ্কিতে ডুব দিয়ে স্যান্ড টাইগার শার্কের মুখোমুখি হতে পারবেন। এই
একুয়ারিমের টানেলের মধ্যে দিয়ে দুবাই মলের দ্বিতীয় তালায় অবস্থিত আন্ডার
ওয়াটার জ্ুেত যাওয়া যায়। চল্লিশটি মেরিন হাউজে পিরানহা, পেঙ্গুইন, কুমির,
বড় টিকটিকি, সাপ, বড় ইলসহ আরও অনেক কিছু দেখতে পারবেন। এখানের ছোট আর্চার
ফিস ও তাদের নিজেদের খাবার শিকার করার পদ্ধতি পর্যটকদের জন্য এক বিশেষ
আকর্ষণ। এছাড়াও এখানে গ্লাস বোট রাইড, কেজ স্নোরিং, শার্ক ডাইভস ও প্যাডি
ডাইভিং করতে পারেন। সপ্তাহের সাত দিনই খোলা থাকে দ্যা দুবাই একুয়ারিইয়াম।
এখানে প্রবেশ মূল্য ৫৫ দিরহাম। তবে তিন বছরের নিচের বাচ্চাদের জন্য কোন
এন্ট্রি ফি দিতে হয় না। বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে ঘোরারও সুযোগ আছে এখানে।
দ্যা দুবাই ফাউন্টেন পুরো দুবাই শহরের মধ্যে দুবাই মলের সামনে অবস্থিত
দ্যা দুবাই ফাউন্টেন পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে এখানে ছবি
তুলতে সবাই খুব পছন্দ করে। এই ফাউন্টেনের কোরিওগ্রাফি এমন ভাবে করা হয়েছে
যে দেখলে মনে হবে, ফাউন্টেনের লাইট ইলুমিনেটিংও পানির শো যেন আকাশ ছুঁয়েছে।
আর এরই সাথে হালকা বিটের আরাবিক ক্লাসিক থেকে শুরু করে মাইকেল
জ্যাকসনের গান বাজতে থাকে পানির শোয়ের সাথে । এখানে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে
প্রতি ৩০ মিনিট পর পর এক ধরনের লাইট ইলুমিনেটিং পানির শো হয়, যা দেখতে অনেক
মানুষের ভিড় হয়। আমরাও ইচ্ছেমত উপভোগ করি লাইট ইলুমিনেটিং শো, সেখানে ছবি
তুলি ও ভিডিও করি। ৩০ মিনিটে শো মনে হয়েছে ৫ মিনিটের, এতই আনন্দ পেয়েছি।
পৃথীবির অনেক দেশের মানুষের ভিড় জমায় সেখানে, আমার কাছে মনে হয়েছে সকল
দেশের মানুষে মিলনমেলার লাইট ইলুমিনেটিং পানির শোয়ের স্থানটি।
তারপর
রাত প্রায় বারটায় আমরা যাই পাম জুমাইরাহে যা দুবাইয়ের আরেকটি আকর্ষণীয়
স্থান পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর কৃত্তিম দ্বীপ। জানা যায় কৃত্তিম দ্বীপের
পাশের এপার্টমেন্টগুলোর দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও প্রথম ধাপে সবগুলো ৭২
ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। বেশিরভাগই অগ্রীম বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। এই
বিষয়টি শুনে ধারণা করা যায়, পাম জুমাইরা কত সুন্দর বা আকর্ষণীয় হতে পারে।
এমন সুন্দর দ্বীপ পৃথীবির কোথাও খুঁজে পাবো কিনা জানি না। যে যাবেন পর্যটক
শহর দুবাইতে পাম জুমাইরাহ’র সৌন্দর্য উপভোগ করে আসতে পারে না।
দ্বিতীয়
দিন সন্ধ্যায় যাত্রা মিরাকল গার্ডেন যা মরুভুমির উত্তপ্ত বালিতে যেখানে গাছ
খুঁজে পাওয়াটা দুষ্কর, সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ফুলের বাগান। বিশ্বের সব
চেয়ে বড় ফুলের বাগান এটি। বাগানটির অবস্থান দুবাইয়ের শেখ মোহাম্মদ বিন
জায়েদ সড়কের পাশে। মরুভূমির মধ্যে নির্মিত এই বাগানের আয়তন প্রায় ৭২ হাজার
বর্গমিটার। প্রকৃতির ফুল-পাতা দিয়ে গড়া এই বাগান প্রকৃতপ্রেমীদের কাছে এটি
যেন এক স্বর্গক্ষেত্র। বাগানের পাশে আরবিও ইংরেজি ভাষায় লেখা থেকে জানা
যায়, ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে উদ্বোধন হয় এ বাগান। এখানে
প্রবেশ করে কারও বুঝার উপায় নেই মরুভূমির কোন দেশে আছি নাকি চিরসবুজ কোনো
উদ্যানে আছেন। চারদিকে নানা রঙের বাহারি ফুলের সমারোহ। ফুল দিয়ে যে কত অবাক
করা আর দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা তৈরি করা সম্ভব তা দুবাই মিরাকল গার্ডেন না
দেখলে বুঝা কঠিন। ফুল মানুষকে কতটুকু আনন্দ দিতে পারে তা দর্শনার্থীদের ভিড়
দেখলেই বুঝা যায়। এরপর গাড়ি সরাসরি চলে যায় দুবাইয়ের আল খাওয়ানিজ এলাকায়
কোরআন পার্ক। ছয় হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে এ পার্ক বিস্তৃর্ত।
রাতে
শেষভাগে যাই প্রমিজ ব্রিজে । যেখানে এখনো ছুলছে হাজার হাজার প্রেমের তালা।
ব্রিজটি ঘিরে চারপাশে রয়েছে চোখ জুড়ানো নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক অপরূপ দৃশ্য।
ভ্রমণ করতে এসে পর্যটকরা স্মৃতির নিদর্শন হিসেবে এ ব্রিজের গায়ে লাগিয়ে যান
তালা । দুবাইয়ের আল খাওয়ানিজ এলাকায় তৈরী করা হয় এই সেতু। সেতুর রেলিং-এ
প্রেমিক প্রেমিকারা তাদের ভালবাসার প্রতিক হিসেবে তালা লাগান।
দুবাইতে
রয়েছে পৃথিবীর সব থেকে বৃহৎ আকৃতির স্বর্ণের চেইন এটি ১৯৯৯ সালে প্রায় নয়
হাজার মানুষের মালিকানায় তৈরি করা হয়। পৃথিবীর সব থেকে বড় টাওয়ারগুলো
দুবাইতে অবস্থিত। ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য দুবাই একটি বিশেষ শহর। অনেক দেশের
মানুষ দুবাইয়ে কাজ কর্মের জন্য নিজের দেশ থেকে দুবাইতে আছেন।
তাহের ভাই
জানান দুবাই এর ধনী ব্যক্তিরা বনের পশুদের পোষ মানতে ভালোবাসেন। সিংহ এবং
চিতাবাঘকে তারা নিজেদের সাথে নিয়ে রাস্তায় ঘোরা ফেরা করেন। সেখানকার ধনী
ব্যক্তিরা উদার মনের হয়ে থাকে যার কারণে প্রকৃত অর্থে যারা গরিব তাদেরকে
বিনামূল্যে খাবার দিয়ে থাকেন। পৃথিবীর সবচেয়ে বিল্ডিং বেশি তৈরি করা হয়
দুবাইয়ে। প্রচুর পরিমান তেলের খননও করা হয় সেখানে।
বাংলাদেশ থেকে বিমান
এমিরাটস এয়ারলাইন্সে দুবাই যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৫৫ হাজার থেকে
৬০ হাজার টাকা। তবে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সে দুবাই গেলে কলম্বোতে এক ঘণ্টার
ট্রানজিট থাকলেও খরচ অনেক কম পড়ে তাই অনেকেই এমিরেটসে দুবাই গেলেও ফেরার
সময় শ্রীলঙ্কান এয়ার লাইন্সে ফিরে। দুবাই এয়ার পোর্ট থেকে প্রাইভেটকার বা
ট্যাক্সিতে শহরের যাওয়া যায়।
দুবাই শহরে কম খরচের মধ্যে বেশ কিছু ভালো
হোস্টেল আছে। আর কয়েকজন মিলে গেলে পুরাতন দুবাইতে থাকাই ভাল। সুবিধা পুরাতন
দুবাইয়ে অনেক বাংলাদেশের নাগরিক পাবেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নামে ছোটও
বড় দোকান রয়েছে। কোন ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত সহযোগিতা নিতে পারবেন। এছাড়াও
দুবাইতে অনেকদামী হোটেল ব্যবস্থা আছে- ওয়েলকাম হোস্টেল, সিগনেচার ইন
দেইরা, দুবাই পাল্ম হোটেল, ইউরেকা হোটেল, সিটি স্টার হোটেল, এমিরেটস হোটেল,
টুরিস্ট হোস্টেল, মে ফেয়ার হোটেল, আরাবিয়ান পার্ক হোটেল রয়েছে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ, বাগিচাগাঁও, কুমিল্লা