শেষ ষোলোয় ওঠার হাতছানিতে মাঠে নেমে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও পারল না স্লোভাকিয়া।
শুরুতে
গোল হজমের ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল ইউক্রেইন। দ্বিতীয়ার্ধে পেল
দুটি গোল। স্লোভাকিয়াকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বে
যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল তারা।
ডুসেলডর্ফে শুক্রবার ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে ইউক্রেইন।
প্রথম
ম্যাচে র্যাঙ্কিংয়ে ৪৫ ধাপ এগিয়ে থাকা বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক
দেখায় স্লোভাকিয়া। ইউক্রেইনের বিপক্ষে জিতলে শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত হয়ে
যেত তাদের। সেই লক্ষ্যে র্যাঙ্কিংয়ে ২১ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে
শুরুতে তারা এগিয়ে যায় ইভান শারাঞ্জের গোলে, যিনি একমাত্র গোলটি করেছিলেন
বেলজিয়ামের বিপক্ষে।
প্রথম ম্যাচে রোমানিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারা
ইউক্রেইন ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পায় মাইকোলা শাপারেঙ্কোর গোলে। পরে তার
অ্যাসিস্ট থেকেই ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন রোমান ইয়ারেমচুক।
ইউক্রেইনের
জয়ে গ্রুপের লড়াইটা দারুণ জমে উঠল। এক ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে
রোমানিয়া। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে পরের দুটি স্থানে ইউক্রেইন ও স্লোভাকিয়া,
এই দুই দল খেলেছে দুটি করে ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে হারা বেলজিয়াম আছে
তলানিতে।
শুরুতে ইউক্রেইনের ওপর চাপ বাড়ায় স্লোভাকিয়া। প্রথম ১১ মিনিটের
মধ্যে দুটি ভালো সুযোগ তৈরি করে তারা। কাছ থেকে লুকাস হারাসলিনের শট
ঠেকানোর পর শারাঞ্জের প্রচেষ্টাও রুখে দেন আন্দ্রি লুনিনের জায়গায় গোলপোস্ট
সামলানোর দায়িত্ব পাওয়া নাতোলি ত্রুবিন।
সপ্তদশ মিনিটে আর পারেননি
তিনি। বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে হারাসলিনের ক্রসে হেডে ঠিকানা
খুঁজে নেন শারাঞ্জ। বল ত্রুবিনের হাত ছুঁলেও জালে জড়ায়।
স্লোভাকিয়ার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনো একটি ইউরোয় একাধিক গোল করার কীর্তি গড়লেন ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড শারাঞ্জ।
এরপর
একটু একটু করে গুছিয়ে উঠতে শুরু করে ইউক্রেইন, শানাতে থাকে আক্রমণ। ৩৪তম
মিনিটে তাদের একটি প্রচেষ্টা বাধা পায় পোস্টে, যদিও অফসাইডের বাঁশি বাজান
রেফারি।
৫৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইউক্রেইন। বাঁ দিক থেকে অলেকসান্দার
জিনচেঙ্কোর পাস বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে বাঁ পায়ের শটে জালে পাঠান
শাপারেঙ্কো।
জাতীয় দলের জার্সিতে ২৫ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের দ্বিতীয় গোল এটি, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের পর প্রথম।
৭৪তম
মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ হারায় ইউক্রেইন। ৬৭তম মিনিটে বদলি নামা
ইয়ারেমচুক বল ধরে এগিয়ে বক্সে পাস দেন মিখাইলো মুদ্রিককে, দুরূহ কোণ থেকে
এই ফরোয়ার্ডের শট গোলরক্ষকের পা ছুঁয়ে পোস্টে লাগে।
৮০তম মিনিটে আর ভুল
করেনি ইউক্রেইন। শাপারেঙ্কোর ক্রস বক্সে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে
কোনাকুনি শটে একটু এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইয়ারেমচুক।
ইউরোয়
২৮ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের গোল হলো ৩টি। বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ,
ইউরো) ইউক্রেইনের হয়ে তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল সাবেক তারকা স্ট্রাইকার
আন্দ্রি শেভচেঙ্কোর, ৪টি।
বাকি সময়ে ঘর আগলে রেখে জয়ের উল্লাসে মাতে ইউক্রেইন।