শুরুর ব্যাটসম্যানদের
ব্যর্থতার পর শক্ত হাতে দাঁড়িয়ে গেলেন মার্কাস স্টয়নিস। ডেভিড ওয়ার্নারকে
নিয়ে গড়লেন কার্যকর জুটি। ঝড়ো ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে তিনি এনে দিলেন পুঁজি।
পরে বল হাতেও সফল এই মিডিয়াম পেসার। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওমানের বিপক্ষে
সহজ জয় পেল অস্ট্রেলিয়া।
শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে নিজেদের প্রথম
ম্যাচে বারবাডোজের ব্রিজটাউনে ৩৯ রানে জেতে অস্ট্রেলিয়া। ‘ট্রিকি’ উইকেটে
ত্রাতা হয়ে দলকে ১৬৪ রানে নিয়ে যান স্টয়নিস। পরে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানের
বেশি করতে পারেনি ওমান।
পাঁচ নম্বরে নেমে ৩৬ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস
খেলেন স্টয়নিস। বল হাতে তার শিকার ১৯ রানে ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কারে
তার প্রতিদ্বন্দ্বীছিল না আর কেউ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা তেমন
ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। তৃতীয় ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন ট্রাভিস হেড।
পাওয়ার প্লেতে আসে ১ উইকেটে ৩৭ রান।
নবম ওভারে জোড়া ধাক্কা দেন মেহরান
খান। বড় শটের খোঁজে লং অনে ধরা পড়েন মিচেল মার্শ। ২১ বলে মাত্র ১৪ রান
করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। পরের বলে কভারে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে গ্লেন
ম্যাক্সওয়েলের দুর্দান্ত ক্যাচ নেন আকিব ইলিয়াস।
দশ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার
সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৫৬ রান। অষ্টম ওভার থেকে ত্রয়োদশ ওভার পর্যন্ত টানা
৩৩ বল কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি তারা। ত্রয়োদশ ওভারে জিশান মাকসুদের
শেষ দুই বলে চার মারেন ওয়ার্নার।
পরের ওভারে উইকেটের পেছনে স্টয়নিসের
ক্যাচ ছাড়েব প্রাতিক আথাভেল। জীবন পেয়ে পঞ্চদশ ওভারে মেহরানের ওপর ঝড় বইয়ে
দেন স্টয়নিস। ৪টি ছক্কায় ওভার থেকে তিনি নেন ২৬ রান। একশ পেরিয়ে যায়
অস্ট্রেলিয়া।
সপ্তদশ ওভারে বিলাল খানের বল ছক্কায় উড়িয়ে মাত্র ২৮ বলে
পঞ্চাশ পূর্ণ করেন স্টয়নিস। পরের ওভারে শাকিল আহমেদকে ছক্কা মেরে একই
মাইলফলক স্পর্শ করেন ওয়ার্নার, ৪৬ বলে।
পরে কালিমউল্লাহকে উড়িয়ে মারার
চেষ্টায় লং অফে ধরা পড়েন ওয়ার্নার। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ বলে তিনি করেন ৫৬
রান। অ্যারন ফিঞ্চকে (৩ হাজার ১২০ রান) টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে
ওয়ার্নারই (৩ হাজার ১৫৫) এখন অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
ওয়ার্নারের
বিদায়ে ভাঙে ৬৪ বলে ১০২ রানের জুটি। পরে টিম ডেভিডকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন
স্টয়নিস। প্রথম ১৪ ওভারে ৮০ রান করা অস্ট্রেলিয়া শেষের ৬ ওভারে নেয় ৮৪ রান।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২ চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা মারেন স্টয়নিস।
রান তাড়ায়
শুরু থেকেই একটু একটু করে পেছাতে থাকে ওমান। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে
তারা করে মাত্র ২৯ রান। দলীয় স্কোর ৬০ হওয়ার আগেই তারা হারায় আরও ৩ উইকেট।
আয়ান
খান ৩০ বলে ৩৬ ও মেহরান ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে কোনোমতে একশ পার
করান। পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোনো কাজে লাগেনি তাদের প্রচেষ্টা।
স্টয়নিসের ৩টি ছাড়াও মিচেল স্টার্ক, ন্যাথান এলিস ও অ্যাডাম জ্যাম্পা নেন ২টি করে উইকেট।
অনায়াস
জয়ের মাঝেও অস্ট্রেলিয়ার জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে স্টার্কের চোট।
পঞ্চদশ ওভারে নিজের কোটা শেষ করতে এসে প্রথম বলেই পায়ে চোট পান স্টার্ক।
প্রাথমিক শুশ্রুষার পর কোনো ঝুঁকি না নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান তিনি।