ক্রিকেটের
মতো দাপুটে অবস্থান না হলেও, বাংলাদেশের তুলনায় ফুটবলে অনেক এগিয়ে
অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ থেকে ২০২২, টানা প্রতিটি আসরেই সকারুজরা বিশ্বকাপ
খেলেছে। তাদের মাটিতে গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় পর্বে
অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল জামাল ভূঁইয়ার দল। যদিও সেখান থেকে হ্যাভিয়ের
ক্যাবরেরার দলকে ৭-০ ব্যবধানে হেরে ফিরতে হয়েছে। এবার বাংলাদেশ সকারুজদের
আতিথ্য দেবে হোম ভেন্যু কিংস অ্যারেনায়।
আগামীকাল বিকেল পৌনে ৫টায় শুরু
হবে ম্যাচটি। এটি বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ের। দুই দলেরই এটি পঞ্চম
ম্যাচ। বাংলাদেশ গত চার ম্যাচে মাত্র একটিতে ড্র করেছিল, সেটিও ছিল এই
কিংস অ্যারেনায় লেবাননের বিপক্ষে। বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া চার ম্যাচের চারটিতে
জিতে গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে। এশিয়ান কাপের পাশাপাশি বিশ্বকাপের
পরের ধাপের বাছাইও নিশ্চিত তাদের।
বাংলাদেশ দল হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিতে চায়। জামালদের শক্তি
নিজেদের মাঠ, আবহাওয়া ও দর্শক। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের শেষ হোম ম্যাচটিতে
একটু বাড়তি পারফরম্যান্স দেখাতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল, ‘এটাই আমাদের
শেষ হোম ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী দল, আমরা হোম অ্যাডভান্টেজ
কাজে লাগিয়ে কিছু একটা করতে চাই।’ শেষ ৪ ম্যাচে বাংলাদেশ ১৪টি গোল হজম
করেছে। সেটি নিয়ে চিন্তায় স্বাগতিক অধিনায়ক, ‘আসলে বিষয়টি বেশ
গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিজেরাও ভাবি শেষ মুহূর্তে কেন গোল হজম করছি, মনসংযোগ
না ফিটনেসের ঘাটতি। এটা আমার একার পক্ষে উত্তর দেওয়া কঠিন।’
বিশ্ব
র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ নম্বর দলের বিপক্ষে খেলতে নামা নিয়ে বাংলাদেশ কোচ
হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, ‘অতি স্বল্প প্রস্তুতি আমাদের, কিন্তু আমরা
ইতিবাচক ভালো কিছু করার ব্যাপারে। মেলবোর্নের (অ্যাওয়ে) ম্যাচের তুলনা করলে
কাল আমরা উন্নতি করতে চাই। এবার আগেই আমরা এবার গোল হজম করতে চাই না,
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। কঠিন ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে চাই।
ম্যাচটা কঠিন করতে চাই অস্ট্রেলিয়ার জন্য।’
২০১৫ সালের পর বাংলাদেশ আবার
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম ম্যাচ খেলবে। বিষয়টি শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়,
সমর্থকদের জন্যও দারুণ বলে মনে করছেন এই স্প্যানিশ কোচ। তবে তার চিন্তায়
গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার বিশ্বনাথ ঘোষকে না পাওয়া নিয়ে। একইসঙ্গে দেখছেন খেলার
অংশ হিসেবেও, ‘ইনজুরি–কার্ড এগুলো খেলারই অংশ। এটা তাদের (বিশ্বনাথ ও
মজিবুর রহমান জনি) জন্য বড় মিস ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ খেলতে পারছে
না। যারা সুযোগ পাবে তাদের জন্য আবার দারুণ সুযোগ।’ ইনজুরি কাটিয়ে তারিক
কাজী ও মোরসালিন ফেরাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কোচ।
অন্যদিকে, ম্যাচের
আগে অস্ট্রেলিয়ান কোচ গ্রাহাম আরনল্ড বলেছেন, ‘কন্ডিশন কোনো সমস্যা বা
অজুহাত হবে না। আমাদের এখানে অনেক খেলোয়াড় আর্জেন্টাইন হাজার হাজার দর্শকের
সামনেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’ কিংস অ্যারেনার পরিবেশ ও অনুশীলন ব্যবস্থা
নিয়ে সন্তোষই প্রকাশ করলেন অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার কাই রোলস, ‘এখানকার পরিবেশ
ও স্টেডিয়াম দেখে ভালোই লাগল, বেশ সুন্দর পরিবেশ।’