প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম |

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা কোল্ডস্টোরেজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২১ লাখ পিস ডিম অবৈধ মজুদের খোঁজ পেয়েছে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত। অবৈধ ভাবে মজুদ এবং লাইসেন্সবিহিন কোল্ডস্টোরেজে খাদ্যদ্রব্য মজুদ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন ও কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ড্রামে সংরক্ষণ করে রাখা ২৪ হাজার কেজি মিষ্টিও জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। অবৈধভাবে মিষ্টি রাখার দায়ে আরো ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন জানান, এই বিপুল পরিমান ডিম কোন কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা এবং কত দিন যাবত মজুদ করা হচ্ছিলো - কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেন নি। আর কোল্ডস্টোরেজটির কৃষি বিপননের লাইসেন্স না থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এসব পণ্য বিপননের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া ৪৮ ঘন্টা পর এই বিষয়ে প্রতিবেদন দিবেন- এসব পণ্য সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে খালাস হয়েছে কি না।

কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম জানান, আলু রাখার কোল্ডস্টোরেজে বিপুল পরিমান ডিম ও মিষ্টি মজুদ করে রাখা হয়েছিলো। ৫ হাজার বান্ডেলে ৪২০টি করে ডিম সেখানে রাখা ছিলো। এছাড়া ৮শ ড্্রামে করে, প্রতি ড্রামে ৩০ কেজি করে ২৪ হাজার মিষ্টি রাখা হয়েছিলো। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ভোক্তা অধিকার বিরোধী।
ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ কোল্ডস্টোরেজটিতে যে পরিমান ডিম মজুদ করা হয়েছে তাতে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরী করা সম্ভব। এছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় ড্রামে করে বিপুল পরিমান মিষ্টি মজুদ করা হয়েছে, তা স্বাস্থ্যকর কিনা বিষয়টি নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। যারা মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে মিষ্টি রেখেছিলেন তাদের মধ্যে খোঁজ পাওয়া চার ব্যবসায়িকে জরিমানা করা হয়েছে। বাকিদেরকেও খুঁজছে ভোক্তা অধিকার।