বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে
থাকা ফুটবল লিগগুলোই সম্ভবত বিশ্বায়নের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। বিভিন্ন
মহাদেশ, দেশ, বর্ণ, ধর্ম, জাতি ও ভাষার খেলোয়াড়েরা এই সব লিগে খেলতে গিয়ে
মিলে যাচ্ছেন এক বিন্দুতে। তবে স্বাভাবিকভাবেই সব দেশ একই পরিমাণ এবং মানের
খেলোয়াড় তৈরি ও সরবরাহ করে না।
বিশ্ব ফুটবলে যেসব দেশ দাপট দেখায়,
তারাই এ তালিকায় বাকিদের চেয়ে এগিয়ে আছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের
খেলাধুলার পরিসংখ্যানভিত্তিক স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল
সেন্টার ফর স্পোর্টস স্টাডিজ (সিআইইএস) এক প্রতিবেদনে খেলোয়াড় রপ্তানিতে
কোন দেশগুলো রাজত্ব করছে, সেই তালিকা তুলে ধরেছে।
বিশ্বব্যাপী ১৩৫টি
লিগের (৮৩টি ইউরোপের এবং ৫২টি অন্য মহাদেশের) ২ হাজার ২০৯টি ক্লাবের ৬২
হাজার ৯৫৫ ফুটবলারের শিকড় অনুসন্ধান করে এ তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি;
যেখানে প্রবাসী ফুটবলারের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩১০। এ তালিকায় প্রবাসী ফুটবলার
বলতে মূলত যে অ্যাসোসিয়শনের অধীনে বেড়ে উঠেছেন, তার বাইরে গিয়ে খেলাকে
বোঝানো হয়েছে। এ গবেষণায় ২০২০–২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কে বিবেচনায় নেওয়া
হয়েছে।
সিআইইএসের এ গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্ব ফুটবলে সবচেয়ে বেশি
ফুটবলার রপ্তানি করেছে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বর্তমানে
ব্রাজিলের বাইরে গিয়ে খেলছেন দেশটির ১ হাজার ৩৩৮ জন ফুটবলার।
পৃথিবীর
আর কোনো দেশে এত ফুটবলার নিজ দেশের বাইরে গিয়ে খেলেন না। ব্রাজিলের পর
দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপের বিজয়ী দল। ২০১৮ সালে
বিশ্বকাপ জেতা ফ্রান্সের ১ হাজার ৯১ জন ফুটবলার পৃথিবীর বিভিন্ন ক্লাবে
খেলছেন।
২০২২ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ৯৯৫ জন ফুটবলার নিয়ে
আছে তৃতীয় স্থানে। এর আগে গত বছরের মেতে করা গবেষণাতেও শীর্ষে ছিল এই তিন
দেশ। এই তিন পরাশক্তির পর পরবর্তী দুটি স্থান ইংল্যান্ড ও জার্মানির।
এ
দুটি দেশ যথাক্রমে ৫৮৬ ও ৪৬৮ জন ফুটবলার রপ্তানি করেছে। ইউরোপ ও দক্ষিণ
আমেরিকার বাইরে আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র দেশ হিসেবে আছে নাইজেরিয়া। যাদের
৪২১ জন ফুটবলার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লিগে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্রাজিল
সামগ্রিকভাবে শীর্ষে থাকলেও গত চার বছরে (২০২০–২০২৪) এগিয়ে ছিল কিন্তু
ফ্রান্সই। এই চার বছরে যাদের খেলোয়াড় বেড়েছে +২৭৩ জন। এরপর দ্বিতীয় স্থানে
থাকা আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় বেড়েছে ২২০ জন। যেখানে এ সময়ে ব্রাজিলের খেলোয়াড়
বেড়েছে মাত্র +৮৬ জন।