প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গনি মডেল স্কুল
শিরোপা জয়ের দিনে ৪ উইকেট শিকারে উজ্জ্বল রুদ্র
সাহাব উদ্দিন অপি।।
|
কুমিল্লা হাই স্কুলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে নাহিদের ব্যাটে।
এছাড়া ১৭ রান করে আসে ফরহাদ ও সাকিবুলের ব্যাটে। আসিফের ব্যাটে ১১ রান,
মেহেদীর ব্যাটে ৫ এবং ওমর শরীফের ব্যাটে আসে মাত্র ২ রান। বাকি ৪ ব্যাটার
মিডল অর্ডারের ২ ব্যাটসম্যান ও লো-য়ার মিডল অর্ডারের ২ ব্যাটসম্যান গোল্ডেন
ডাক নিয়ে মাঠ ছাড়েন। বিপর্যয়ে তানিম মাহমুদ নাহিদ দলের হাল ধরলেও রুদ্রের
বলে থেমে যায় তার প্রচেষ্টা। মাত্র ৮৯ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাটিংয়ে
নেমে চ্যাম্পিয়ন হওয়া চাঁদপুর গনি মডেল হাই স্কুলের ম্যাচ জয় কিন্তু এতোটাও
সহজ হয়নি। অল্প রানের পুঁজিতে দারুণ ফাইট করেছে কুমিল্লা হাই স্কুল দল।
এদিন আসিফ, মুস্তাফিজ কিংবা জয়ের মতো একজন বোলার জ্বলে উঠলে ফাইনাল ম্যাচের
ফলাফলটা হয়তো অন্য রকম হয়ে যেত। কুমিল্লা হাই স্কুলের হয়ে প্রথম উইকেট
শিকার করে মুস্তাফিজ। ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলে চাঁদপুর গনি মডেল হাই স্কুল
দলের ওপেনারকে সাজ ঘরে ফেরায় এ বোলার। ১৫ রানেই থেমে যায় আবরার রাশিদের
ইনিংস। সঙ্গীকে হারানোর পর বেশিক্ষণ টেকেননি আরেক ওপেনার তানজিদ আকন্দও।
মাত্র ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। দুই ওপেনারকে হারিয়ে দল যখন কিছুটা চাপে
পরে, তখনই ত্রাতা ভূমিকায় দেখা দেয় হিমেল। তবে মিডল অর্ডারের ২ ব্যাটার
সিফাত ও মুশফিকের আউট হওয়ার পর হিমেল আরও শঙ্কিত হয়ে পরে। তবে ফারহানের
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বিপদ সকল আশঙ্কা কেটে যায়। বিপর্যের মুহুর্তে এই ২
ব্যাটার বেশ ভালোভাবেই সামাল দেয় গনি মডেল হাই স্কুল দলকে। তবে রান আউটের
ফাঁদে পরে হিমেল আউট হওয়ার পর গেইম অনেকটা কুমিল্লা হাই স্কুলের পক্ষে আসে।
তবে ফারহানের অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস বদলে ফেলে পুরো দৃশ্যপট। ৩ উইকেটে জয়
পায় গনি মডেল হাই স্কুল দল। চাঁদপুর গনি মডেল হাই স্কুল দলের হয়ে ফারহান
ছাড়া ব্যাট হাতে ২১ রানের ইনিংস খেলেন হিমেল। আবরার রাশিদ করেন ১৫ রান। বল
হাতে কুমিল্লা হাই স্কুল দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পায় মুস্তাফিজ।
এছাড়া ১টি করে উইকেট পায় জয়, আসিফ ও নাহিদ। ফলাফল এবারের প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন চাঁদপুর গনি মডেল হাই স্কুল। |