ডি বক্সে পড়ে গিয়েও দুই
জনের চ্যালেঞ্জের মুখে কোনোমতে সতীর্থকে খুঁজে নিলেন গাব্রিয়েল জেসুস। সে
সময়ে ডি বক্সে গোলরক্ষকসহ উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের ছিলেন নয় খেলোয়াড়।
ঠা-া মাথায় আড়াআড়ি শটে তাদের মাঝ দিয়ে জাল খুঁজে নিলেন লেয়ান্দ্রো
ত্রোসার। বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডের চমৎকার এই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর জয়ে ফিরল
আর্সেনাল। ম্যানচেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলে উঠে এলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের
চূড়ায়।
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে মিকেল আর্তেতার দল।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ত্রোসার দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক মার্টিন ওদেগোর।
চ্যাম্পিয়ন্স
লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-২ ড্র করার পর বায়ার্ন
মিউনিখের মাঠে ১-০ গোলে হারে আর্সেনাল। মাঝে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ঘরের
মাঠে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে হারে ২-০ ব্যবধানে।
চোটে অনেক শক্তি হারানো
উলভারহ্যাম্পটনকে শুরু থেকে বেশ চাপে রাখে মরিয়া আর্সেনাল। বল দখল ও
আক্রমণে আধিপত্য করা দলটি তৈরি করতে থাকে সুযোগ। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে
পারছিলেন না জেসসু, ত্রোসাররা।
রক্ষণে বেশি মনোযোগ দেওয়া
উইলভারহ্যাম্পটন ২৯তম মিনিটে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগে প্রায় এগিয়েই
যাচ্ছিল। জোয়াও গোমেসের শট আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়ার হাত ছুঁয়ে ব্যর্থ
হয় পোস্টে লেগে!
প্রথম ৪৪ মিনিটে দুই দল মিলিয়ে গোলের জন্য ১০টি শট নেয়। এর মধ্েয সত্িযকারের বিপদ ছিল কেবল গোমেসের ওই শটেই।
মনে
হচ্ছিল সমতায়ই শেষ হতে যাচ্ছে প্রথমার্ধ। তবে ৪৫তম মিনিটে দারুণ এক গোলে
আর্সেনালকে এগিয়ে নেন ত্রোসার। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জেসুসের কাছ থেকে বল
পেয়ে উলভারহ্যাম্পটনের অসংখ্য খেলোয়াড়ের ভেতর দিয়ে আড়আড়ি শটে জাল খুঁজে
নেন তিনি। চলতি আসরে এটি বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডের নবম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬তম মিনিটে চমৎকার ভলিতে গোলের চেষ্টাই ছিলেন কাই হাভার্টজ। তবে শট যায় সরাসরি গোলরক্ষক বরাবর।
৭০তম
মিনিটে একটি সুযোগ পেয়েছিলেন মারিও লেমিনা। তবে তৎপর রায়া কোনো বিপদ ঘটতে
দেননি। দ্বিতীয়ার্ধে লক্ষ্েয এটাই স্বাগতিকদের প্রথম শট।
যোগ করা সময়ে
আর্সেনালের দুটি দারুণ আক্রমণ রুখে দিয়ে উলভারহ্যাম্পটনের আশা বাঁচিয়ে
রাখেন গোলরক্ষক। কিন্তু পঞ্চম মিনিটে আর পারেননি। ওদেগোরের প্রথম শট চমৎকার
স্লাইডে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক এক ডিফেন্ডার। ফিরতি বলে দূরূহ কোণ থেকে
গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে জাল খুঁজে নেন আর্সেনাল অধিনায়ক। তিন ম্যাচ পর জয়ে
ফেরার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্তেতার দল। ৩৩ ম্যাচে ২৩ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৭৪
পয়েন্ট নিয়ে আপাতত চূড়ায় উঠে এসেছে আর্সেনাল। ৩২ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে
দুই নম্বরে নেমে গেছে সিটি। সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে
লিভারপুল। ৩৩ ম্যাচে চতুর্দশ হারের পর ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে রয়েছে
উলভারহ্যাম্পটন।