যে দলের
মাঠে খেলা, সেই দলের জয়। আইপিএলের প্রথম ন’টি ম্যাচেই তাই হল। দিল্লি
ক্যাপিটালস আরও একটি ম্যাচে হেরে গেল। জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালস নিজেদের
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নিল। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান ১৮৫ রান তোলে। জবাবে
ব্যাট করতে নেমে দিল্লির ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১৭৩ রানে।
শুরুতেই যশস্বী
জয়সওয়াল, জস বাটলারদের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।
সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে রাখেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রিয়ান পরাগেরা। শুরুতেই
তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অশ্বিনকে নামিয়ে দিয়েছিল রাজস্থান। সেই ফাটকা
কাজে লেগে যায়। বড় শট খেলে দলের উপর থেকে চাপটা কাটিয়ে দেন অশ্বিন। যা পরাগ
এবং ধ্রুব জুরেলকে দ্রুত রান তুলতে সাহায্য করে। ১৮৫ রান তুলল রাজস্থান।
এ
দিন দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথম একাদশে রেখেছিল মুকেশ কুমারকে। বাংলার পেসার
নিজের প্রথম ওভারেই যশস্বীর (৫) স্টাম্প উড়িয়ে দেন। এর পরেই একে একে সাজঘরে
ফিরে যান সঞ্জু স্যামসন (১৫) এবং বাটলার (১১)। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারায়
রাজস্থান। সেই সময় অশ্বিনকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ১৯ বলে ২৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ
ইনিংস খেললেন ভারতীয় স্পিনার। তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। এর মধ্যে দু’টি ছিল
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার এনরিখ নোখিয়ের বিরুদ্ধে।
অশ্বিনের সেই ইনিংসের
ফলে চাপ কেটে যায় তরুণ পরাগের উপর থেকে। তিনি দ্রুত রান তুলতে শুরু করলেন।
পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেনি রাজস্থান। তাতে কোনও প্রভাব পড়ল না। শেষ
ওভারে নোখিয়ের বলে পরাগ নিলেন ২৫ রান। নিজে ৪৫ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত
রইলেন। জুরেল ১২ বলে ২০ রান করে সঙ্গে দেন তাঁকে। শিমরন হেটমেয়ার ৭ বলে ১৪
রান করে অপরাজিত থাকেন।
গত বারের আইপিএলে রাজস্থানের হয়ে বড় ইনিংস খেলতে
দেখা গিয়েছিল যশস্বী এবং বাটলারকে। কিছু ম্যাচে রান করেন সঞ্জুও। অনেকের
মতে এই তিন ক্রিকেটার রান না পেলে রাজস্থান বড় রান তুলতে পারে না।
বৃহস্পতিবার অন্য রাজস্থানকে দেখা গেল। মিডল অর্ডারের দাপটে বড় রান তুলল
রাজস্থান।