পান্ডিয়া যখনই বল হাতে নিলেন, দুয়ো
দিলেন দর্শকরা। যা নজর এড়ায়নি ধারাভাষ্যে থাকা সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক কেভিন
পিটারসেনেরও, “আজ সন্ধ্যায় আহমেদাবাদে হার্দিককে ভালোভাবে স্বাগত জানানো
হয়নি। যতবারই সে বলের কাছে গিয়েছে, ততবারই শিস দেওয়া হয়েছে। ভারতে এমন কিছু
খুব একটা দেখিনি আমি।” এদিন টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে পান্ডিয়া নিজেই শুরু
করেন বোলিং। সব মিলিয়ে ৩ ওভার বোলিং করে ৩০ রান দিয়ে কোনো উইকেট তিনি
পাননি। ২০ ওভারে গুজরাট করে ১৬৮ রান।
রান তাড়ায় ১২ ওভার শেষে ২ উইকেটে
১০৭ রানের সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল মুম্বাই। এরপর পথ হারিয়ে ফেলে তারা। শেষ ২
ওভারে যখন দরকার ২৭ রান, তখন সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন পান্ডিয়া। শেষ
ওভারে ১৯ রানের সমীকরণে উমেশ ইয়াদাভের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে তিনি
আশা জাগান জয়ের, কিন্তু পরের বলেই আউট হয়ে যান ক্যাচ দিয়ে, ৪ বলে করেন ১১
রান।
শেষ পর্যন্ত ৬ রানে হেরে যায় মুম্বাই। নেতৃত্বের অভিষেকে গিল ব্যাট
হাতে খুব বড় কিছু (২২ বলে ৩১) করতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি থাকল
তার মুখেই।
পান্ডিয়া চলে যাওয়ার পর গুজরাটের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়
গিলের কাঁধে, গত দুই মৌসুমে দলটির হয়ে ব্যাট হাতে তার পারফরম্যান্স ছিল
অসাধারণ। তবে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা বলতে ছিল ২০১৯-২০ মৌসুমে
সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে তার রাজ্য দল পাঞ্জাবকে দুটি ম্যাচে নেতৃত্ব
দেওয়া।
ব্যাট হাতে এরই মধ্যে ক্রিকেট বিশ্বে সামর্থ্যের ছাপ রাখা ২৪
বছর বয়সী ক্রিকেটার এবার বড় মঞ্চে নেতৃত্বের শুরুটাও করলেন দারুণভাবে।
বোলার পরিবর্তন, ফিল্ডিং সাজানো, সবকিছুই বেশ ভালোভাবে করেন তিনি। যার
ফলাফল, ১৬৮ রানের পুঁজি নিয়েও দলের দারুণ জয়।