দেবিদ্বারে গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ
শাহীন আলম
|
![]() এদিকে গৃহবধুর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বলেছেন তিনি কেরির বড়ির খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ । ঘটনার পর স্বামী মোখলেছুর রহমান পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতের মা আলেয়া বেগম বলেন, ইউসুফপুর ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে শাবনাজকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন মোখলেছ ও তার পরিবারের লোকজন। তাদের নির্যাতনই শাবনাজের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরও বলেন, তারা আমাকে খবর দিলে আমি উঠানে লাশ দেখতে পাই, আর মুখে নাকে মুখে রক্ত পড়ছে। তার স্বামীর বাড়ির লোকজন আমাকে থানায় নিয়ে কি একটা কাগজে সই নেয়, আমি লেখাপড়া জানি না, আমার মেয়েকে যারা নির্যাতন করে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার দাবি করছি। নিহতের স্বামী মোখলেছুর রহমানের বড় ভাই মো. খোরশেদ আলম বলেন, শাবনাজ বেগম তার বাবার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেশি ঝগড়া করত। এ নিয়ে আমরা একাধিক সালিস মীমাংসা করেছি, শাবনাজ কেরির ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসলে সব পরিষ্কার হবে। তাকে নির্যাতন করা হয়নি। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যদি হত্যার কোন আলামত পাওয়া যায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
|