শুরুতে সুযোগ
পেয়ে কাজে লাগাতে পারল না শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার
ধাক্কাও পরে আর সামলে নিতে পারল না তারা। আসরোর গফুরভের গোলটি আগলে রেখে
গ্রুপ সেরা হয়ে ফেডারেশন কাপের নকআউট পর্বে উঠল বসুন্ধরা কিংস।
মুন্সিগঞ্জের
শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘সি’ গ্রুপের
ম্যাচটি কিংস জিতেছে ১-০ গোলে। ফর্টিস এফসিকে একই ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ
পর্ব শুরু করা অস্কার ব্রুসনের দল টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে গ্রুপ
সেরা।
এ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে ফর্টিস
এফসি। শেখ রাসেলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে পাওয়া ৩ পয়েন্টের সুবাদে গ্রুপ
রানার্সআপ হয়েছে তারা।
যদিও শেখ রাসেলের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। একাদশ
মিনিটে সুলেমানে ল্যান্ড্রির জোরাল ফ্রি কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নার করে
দেন নিয়মিত গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর বদলে সুযোগ পাওয়া মেহেদী হাসান
শ্রাবণ।
২২তম মিনিটে আবারও সুযোগ আসে শেখ রাসেলের সামনে। বক্সে কাজী
তারিক রায়হান পিছলে পড়লে বলের নিয়ন্ত্রণ পান দীপক রায়। তার পাস ধরে আতান্ডা
ওগুংবে বাড়ান ল্যান্ড্রিকে। ভালো জায়গায় থেকেও বুরুন্ডির এই ফরোয়ার্ড
মারেন পোস্টের বাইরে।
দুরূহ কোণ থেকে করা গফুরভের গোলে ৩৬তম মিনিটে
এগিয়ে যায় কিংস। রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর থ্রু পাস ধরে বাম দিকে দিয়ে বক্সে
ঢুকে পড়েন গফুরভ; গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডার তানভির হোসেনকে কাটাতে
গিয়ে চলে যান কিছুটা দুরূহ কোণে। সেখান থেকেই নেওয়া উজবেকিস্তানের এই
মিডফিল্ডারের শট দূরের পোস্ট দিয়ে জড়ায় জালে।
৫৫তম মিনিটে বাইলাইনের একটু ওপর থেকে রবিনিয়োর গোলমুখে বাড়ানো আড়াআড়ি ক্রস আটকান শেখ রাসেল গোলরক্ষক রাকিবুল হাসান।
শেষ
দিকে ২০২০-২১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন কিংসের হতাশা সঙ্গী হয় মিগেল দামাশেনো
লাল কার্ড দেখায়। অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের কারণে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে মাঠ
ছাড়ার নির্দেশ দেন রেফারি।
দিনের অন্য ম্যাচে, গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল
হক মনি স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব ও বাংলাদেশ পুলিশ এফসির ‘এ’
গ্রুপের ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়েছে। এই ড্রয়ের ফলে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে
গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে শেখ জামাল। ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ
রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে পুলিশ এফসি।
পয়েন্টের খাতা খুলতে না
পারলেও নিয়মের মারপ্যাঁচে টিকে আছে শেখ রাসেলের আশা। তিন গ্রুপের মধ্যে
একমাত্র ‘বি’ গ্রুপে আছে চার দল। এই গ্রুপ থেকে এরই মধ্যে নকআউট পর্ব
নিশ্চিত করেছে আবাহনী ও মোহামেডান। পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি চট্টগ্রাম
আবাহনী ও ব্রাদার্স; এই দুই দল মুখোমুখি হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
চার দলের এই
গ্রুপে চতুর্থ হওয়ার দলটির সাথে বাকিদের ম্যাচের ফল বিবেচিত হবে না। ফলে
চট্টগ্রাম আবাহনী ও ব্রাদার্স ম্যাচের ফল যা-ই হোক, দুই দলের পয়েন্ট হবে
শুন্য। এই দুই দলের সাথে শেখ রাসেল-মিলিয়ে তিন দলের পয়েন্ট হবে শুন্য (০)।
তখন হিসাব হবে গোলের; সেক্ষেত্রে তিন দলের সামনেই সুযোগ আছে তৃতীয় সেরা দল
হয়ে নকআউ পর্বে ওঠার।
দুই তৃতীয় সেরা দলের একটি হিসেবে ‘এ’ গ্রুপ থেকে ১
পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস
অ্যান্ড সোসাইটির। বাকি একটি টিকেটের লড়াই চলছে চট্টগ্রাম আবাহনী,
ব্রাদার্স ও শেখ রাসেলের মধ্যে।