চতুর্থ ইনিংসে চারশর
কাছাকাছি রান তাড়া যে কোনো দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। উপমহাদেশে তা আরও কঠিন।
‘বাজবল’ ঘরানার ব্যাটিংয়ে কঠিন সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলার আশায় ছিল
ইংল্যান্ড। কিন্তু তৃতীয় দিন জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের চমৎকার
বোলিংয়ে অনেক আগেই থামল সফরকারীরা। শতরানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত।
বিশাখাপাতœাম টেস্টে রোহিত শার্মার দলের জয় ১০৬ রানে। ৩৯৯ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ দিন ২৯২ রানে থেমে গেছে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস।
শেষ
দুই দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৩৩২ রান, ভারতের ৯ উইকেট। তৃতীয় দিনের
খেলা শেষে জেমস অ্যান্ডারসন বলেছিলেন, সোমবার ৬০ থেকে ৭০ ওভারের মধ্যে তারা
ওই রান করার চেষ্টা করবেন। তারা তো পারেইনি, উল্টো দুই সেশনেই তাদের শেষ ৯
উইকেট তুলে নিয়েছেন বুমরাহ-অশ্বিনরা।
১ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা ইংল্যান্ড একশ রানে পৌঁছানোর আগেই হারায় রেহান আহমেদকে। তার মতোই ২৩ রান করে ফেরেন অলি পোপ।
আগের
দিন দুই দফায় আঙুলে চোট পাওয়া জো রুট টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। টি-টোয়েন্টি
ঘরানার ব্যাটিংয়ে বিদায় নেন ১০ বলে ১৬ রান করে; অশ্বিনের বলে স্লগ করে
ছক্কার চেষ্টায় একদমই টাইমিং করতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে বল যায়
ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে!
এক প্রান্ত আগলে রাখা জ্যাক ক্রলিকে এলবিডব্লিউ
করে ফেরান কুলদিপ ইয়াদাভ। ১৩২ বলে আট চার ও এক ছক্কায় ৭৩ রান করেন ইংলিশ
ওপেনার। পরের ওভারে জনি বেয়ারস্টোকে বিদায় করে ইংল্যান্ডকে আরেকটি ধাক্কা
দেন বুমরাহ।
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেকে সংযত রেখেছিলেন বেন স্টোকস। তার
সামর্থ্য ছিল ম্যাচ আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু আয়েশী ভঙ্গীতে রান
নেওয়ার চেষ্টায় তিনি রান আউট হলে ম্যাচ চলে যায় ভারতের মুঠোয়।
অষ্টম
উইকেটে কিছুটা লড়াই করেন বেন ফোকস ও টম হার্টলি। দুই জনে গড়েন ৫৫ রানের
জুটি। শুরুর জুটির পর এটাই ইনিংসে ইংলিশদের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
চমৎকার এক স্লোয়ারে ফোকসকে বিদায় করে ইংলিশদের প্রতিরোধ ভাঙেন বুমরাহ।
ইংল্যান্ডের
৯ উইকেট পড়ে যাওয়ায় চা-বিরতির সময় পিছিয়ে দেন আম্পায়াররা। কাজ সারতে
বুমরাহ নেন কেবল দুই বল। প্রান্ত বদল করে আক্রমণে ফেরা এই পেসারের রিভার্স
আউট সুইঙ্গারে বোল্ড হয়ে যান হার্টলি।
প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানে ৬ উইকেট
নেওয়ার পর এবার ৪৬ রানে ৩ উইকেট নিলেন বুমরাহ। ইয়াশাসবি জয়সাওয়ালের ডাবল
সেঞ্চুরি ছাপিয়ে তিনিই জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩৯৬
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৫৩
ভারত ২য় ইনিংস: ২৫৫
ইংল্যান্ড
২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৯৯, আগের দিন ৬৭/১) ৬৯.২ ওভারে ২৯২ (ক্রলি ৭৩, রেহান
২৩, পোপ ২৩, রুট ১৬, বেয়ারস্টো ২৬, স্টোকস ১১, ফোকস ৩৬, হার্টলি ৩৬, বাশির
০, অ্যান্ডারসন ৫*; বুমরাহ ১৭.২-৪-৪৬-৩, মুকেশ ৫-১-২৬-১, কুলদিপ ১৫-০-৬০-১,
অশ্বিন ১৮-২-৭২-৩, আকসার ১৪-১-৭৫-১)
ফল: ভারত ১০৬ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: জাসপ্রিত বুমরাহ